দশম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব ৫০ ঊর্ধ্বর, প্রত্যাখ্যাত হয়ে কিশোরীর গলায় ছুরি মেরে ফেরার

বুধবার সন্ধ্যায় সময় গ্রামের পাশে একটি ম্যাজিক শো দেখে ফিরছিল ওই কিশোরী। অভিযোগ, আগে থেকে একটি মারুতিতে কয়েকজন লোক নিয়ে অপেক্ষা করছিল মুস্তাফা। কিশোরী একা হেঁটে সামনে আসতেই কিশোরীকে লক্ষ করে লঙ্কাগুঁড়ো ছোড়ে তারা।

Web Desk - ANB | Published : Jan 27, 2022 9:12 PM IST

দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব এক বিবাহিত ব্যক্তি। কিন্তু, বয়সে এত বড় এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়েতে নারাজ হয় ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, এরপরই প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরীকে রাস্তায় একা পেয়ে মারুতিতে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত। কিন্তু, ওই কিশোরীর চিৎকার করতে থাকায় তাকে তুলে নিয়ে যেতে না পেরে তার গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে দলবল নিয়ে ফেরার হয়ে যায় ওই ব্যক্তি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার অন্তর্গত জোড়াবাঁধ এলাকার। জানা গিয়েছে, পিংলা থানার অন্তর্গত বলিশ্বরপুর এলাকার বাসিন্দা মুস্তাফা খাঁন, প্রায় এক মাস আগে পাশের গ্রামের এক কিশোরীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। বিবাহিত মোস্তফা গরিব কিশোরীর পরিবারের আর্থিক দুরবস্থা সুযোগ নিয়েছিল। আর্থিক সহযোগিতার প্রলোভন দেখিয়ে এই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। কিন্তু, কিশোরীর থেকে বয়সে এতটা বড় হওয়ায় মুস্তাফার সঙ্গে তার বিয়েতে রাজি হয়নি কিশোরী ও তার পরিবার কেউই। তারপর থেকেই ওই কিশোরীকে মুস্তাফা নজরে রাখছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। 

বুধবার সন্ধ্যায় সময় গ্রামের পাশে একটি ম্যাজিক শো দেখে ফিরছিল ওই কিশোরী। অভিযোগ, আগে থেকে একটি মারুতিতে কয়েকজন লোক নিয়ে অপেক্ষা করছিল মুস্তাফা। কিশোরী একা হেঁটে সামনে আসতেই কিশোরীকে লক্ষ করে লঙ্কাগুঁড়ো ছোড়ে তারা। এরপর রাস্তা থেকে কিশোরীকে মারুতিতে তুলে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাতেই বাধা দেয় ওই কিশোরী। চিৎকার করতে শুরু করে কিশোরী। এরপর পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই কিশোরীর গলায় ছুরি চালিয়ে দেয় মুস্তাফা। তারপর সেখানেই তাকে ফেলে রেখে দ্রুত দলবল নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। 

চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করে পিংলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁরা। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেখানে সে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জোড়াবাঁধ এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ করে অভিযুক্ত মোস্তফা-সহ তার সঙ্গে থাকা দলবলকে গ্রেফতারের দাবি জানায়। ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিশ চারজনকে আটক করে জেরা করছে। ফেরার মোস্তফার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

Share this article
click me!