ধৃতদের কাছ থেকে ৪ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৬রাউন্ড গুলি, ৫০০গ্রাম সোনা, দেড় কিলো রুপা ও প্রায় দেড় লাখ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় ব্যাপাক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
করোনাকালীন পরিস্থিতিতে গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে চুরি-ছিনতাইয়ের মতো সামাজিক অপরাধের ঘটনা। গত কয়েকমাসে রাজ্যের একাধিক প্রান্ত থেকে প্রচুর বেআইন অস্ত্রশস্ত্রের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ মাদকও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এমতাবস্থায় এবার একটা বড়সড় ডাকাত দলের খোঁজ মিলল হুগলীতে। সম্প্রতি আরামবাগ থানার পুলিশের (Arambagh police) তৎপরতায় দলটি ধরা পড়ে বলে জানা যাচ্ছে। ধৃতদের কাছ থেকে ৪ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৬রাউন্ড গুলি, ৫০০গ্রাম সোনা, দেড় কিলো রুপা ও প্রায় দেড় লাখ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় ব্যাপাক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
সূত্রের খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত ২৫ জানুয়ারি আরামবাগ থানার পুলিশ একটি বাড়িতে আচমকা হানা দেয়। শুরু হয় খানা তল্লাশি। তখনই এ সমস্ত জিনিস উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ১৪ জনকে। তার মধ্যে ৩ জন মহিলাও আছে। জানা গেছে এরা প্রায় প্রত্যেকেই বিহার,উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে এসে এখানে বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে থাকতো। এলাকায় এরা কম্বল বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু আসল কাজ ছিল চুরি ডাকাতি করা। এদিন হুগলীর গ্রামীন পুলিশ সুপার আমনদীপ এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, এদের অনেককেই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এটি একটি আন্তঃরাজ্য গ্যাং বলে মনে করা হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় চুরি হচ্ছিল। এরাই এটা করছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
আরও পড়ুন-‘মা আই কুইট’, অঙ্কের বোর্ডে শেষ কথা লিখে আত্মহত্যা শিলিগুড়ির মেধাবী ছাত্রের
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হুগলীর গ্রামীন পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, “পরশু দিন ২৫ তারিখ আমাদের কাছে একটা ইনফরমেশন আসে। সেখান থেকে আমরা জানতে পারি কিছু সন্দেহজনক লোক এখানে থাকছে বাইরে থেকে এসে। এরপরই আমাদের থানার টিম ওখানে রওনা হয়। দলে ছিলেন থানার একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। রেড করা হয় একটি বাড়িতে। ওই বাড়ি থেকে আমরা বেশ কিছু বেআইনি জিনিস পাই। পাশাপাশি কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এরপর আমাদের কাছে খবর আসে আশেপাশে আরও কয়েকটি বাড়িতে এই দলের অন্যান্য সদস্যরা গা ঢাকা দিয়ে আছে। তারপর সেখানেও রেড করে আমরা বাকিদের ধরতে সমর্থ হয়েছি।”
আরও পড়ুন-BSF-র প্রজাতন্ত্র দিবসের ভিডিওতে আলাদা রাজ্য উত্তরবঙ্গ, অমিত শাহকে চিঠি বাংলা পক্ষের