দেওরের হাতের ধারালো অস্ত্রের কোপে বৌদির মুন্ডু ধর থেকে আলাদা হয়ে গেল। ডোমকলের ঘোড়ামারা এলাকায় এই ঘটনায় দেওরকে ধরে ফেলে উত্তেজিত জনতা। পরে গণধোলাই দেয় বাসিন্দারা।
জানা গেছে, ওই গৃহবধূর নাম মেহেরুন বিবি (৩০)। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত দেওর রুবেল মন্ডলকে ধরে ফেলে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে বেধড়ক গণধোলাই দেয়। পরে ডোমকল থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ওই গৃহবধূ খুনের অভিযুক্ত রুবেলকে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর, ডোমকলের ঘোড়ামারা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গাফফার মন্ডলের সাথে বছর ১০ আগে বিয়ে হয় নদীয়ার জয়রাম পুরের মেহেরুন বিবির। পেশায় রাজমিস্ত্রি আব্দুল গাফফার ভিন জেলায় কর্মরত। একই বাড়িতে আবদুল গফফর এর ভাই বৌদি খুনে অভিযুক্ত রুবেলও থাকে।
এলাকায় বদমেজাজি হিসেবেই পরিচিত এই রুবেল। সম্প্রতি কয়েকদিন ধরে বৌদি মেহেরুন বিবির সাথে তার মন কষাকষি চলছিল। অভিযোগ, মেহেরুনকে তার দেওর রুবেল মন্ডল কথা আছে বলে ঘরে ডাকে। সেইমতো বৌদি রুবেলের ঘরে যায়। তারপরই রুবেলের ঘর থেকে শোনা যায় চিৎকার। স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখে, প্রথমে হাসুয়া দিয়ে বৌদিকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তার দেহ ছিন্নভিন্ন করে দেয় রুবেল। তারপর রাম দা দিয়ে মেহেরুন বিবির মাথা ধর থেকে আলাদা করে দেয় রুবেল।
পালিয়ে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা ছুটে এসে রুবেল মন্ডল কে আটকে বেঁধে রাখে। এলাকা সূত্রে জানা যায় যে রুবেল মন্ডল মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট থেকেই কেউ কিছু বললেই তাকে মারার হুমকি দিয়ে তাড়া করে। এমনকী বহরমপুরের চিকিৎসক আলী হাসান এর কাছে ভর্তি ছিলেন একমাস আগে বাড়ি ফেরে রুবেল মন্ডল।