বৃষ্টি নামলেই আতঙ্ক! বজ্রপাতে মৃত্যু ফের মৃত্যু মুর্শিদাবাদে। দুর্যোগের রাতে বাড়ির বারান্দা ঘুমন্ত অবস্থায় বেঘোরে প্রাণ গেল এক ব্যক্তি। শোকের ছায়া নেমেছে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া লালগোলা শহরে।
আরও পড়ুন: 'মুখে দেওয়া যায় না খাবার', প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ কোভিড হাসপাতালের রোগীদের
খাতা-কলমে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। কিন্তু বৃষ্টি আর থামছে কই! শরতের আকাশে এখন চলছে মেঘ-রোদের খেলা। রোদ ঝলমলে আকাশে কখন যে বর্ষার মেঘ জমবে, তা বোঝার উপায় নেই। আর বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়ে যাবে বজ্রপাতও। আর তাতেই বিপদ বাড়ছে।
মৃতের নাম বেলাল হোসেন। বাড়ি, লালাগোলার কালমেঘা অঞ্চলের রামচন্দ্রপুর গ্রামে। পেশায় তিনি দিনমজুর। সপরিবারে থাকতেন মাটির বাড়িতে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে গরুর জন্য ঘাস কাটতে মাঠে গিয়েছিলেন বেলাল। রাতে যখন বাড়ি ফেরেন, তখন মুষলধারায় বৃষ্টি পড়ছে। খাওয়া-দাওয়ার পর ঘরের পাশে খোলা বারান্দায় শুয়ে পড়েন তিনি সেটাই কাল হল। মাঝ রাতে বিকট শব্দে বাজ পড়ে। ঘটনাস্থলেই ঘটনাস্থলে মারা যান বেলাল। মৃতেদহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। এলাকায় শোকের ছায়া।
আরও পড়ুন: একাকী বৃদ্ধাকে বেঁধে, মারধর করে অবাধে লুঠপাট, রেল কোয়ার্টারে আতঙ্ক
উল্লেখ্য, ইদানিং কিন্তু বজ্রাঘাতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে রাজ্যের সর্বত্রই। কয়েক মাসে আগে মুর্শিদাবাদে বাজ পড়ে মারা যান মহিলা-সহ ৬ জন। গুরুতর জখম হন বেশ কয়েকজন। ঝাড়গ্রামে একইদিনে প্রাণ হারান পাঁচজন। বজ্রঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জেও।