সকালে মর্মান্তিক বজ্রাঘাতের বলি। বাবার জন্য খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে ছেলের মৃত্যু। আহত একাধিক। বিকট আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা গুরুতর জখমদের আমবাগান থেকে মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। পৃথক দুটি বজ্রপাতের ঘটনায় ইন্দো-বাংলা সীমান্তের মুর্শিদাবাদে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
জানা গিয়েছে, সকালে ইন্দো-বাংলা সীমান্তের মুর্শিদাবাদের জোতখামার ও পঞ্চনন্দপুরে বজ্রপাতের জেরে চরম মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। বাবা ও ভাইয়ের জন্য খাবার দিতে গিয়ে আর ফিরতে পারল না ছেলে। আমবাগানের মধ্যে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এবং অপর ২ জন গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। রবিবার এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়।মৃতের নাম সাহেব শেখ (৪২) , আহতরা হলেন শরৎ ঘোষ ও প্রসেঞ্জিত ঘোষ । জানা গিয়েছে, আমের মরশুমে ঠিকায় আমবাগান নেওয়া বাড়ির কর্তাদের জন্য জলখাবার নিয়ে যাচ্ছিল একদিকে জোতখামারের সাহেব শেখ অন্যদিকে পঞ্চনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা শরৎ ঘোষ ও প্রসেঞ্জিত ঘোষ।
আরও পড়ুন, রাতের বৃষ্টিতেও কমল না গরম, তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ৩ ডিগ্রি উপরে কলকাতায়, কবে আসবে বর্ষা
এরপরেই আচমকা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বজ্রপাতে দুই ভিন্ন এলাকায় একজনের মৃত্যু ও অপর দুইজন গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। বিকট আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা গুরুতর জখমদের আমবাগান থেকে মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। প্রসঙ্গত, আগেই বজ্রবিদ্যুৎ-এর পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। তবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিকে অনেকক্ষেত্রেই গুরুত্ব দিয়ে না দেখার দরুণ প্রাণ হারান অনেক চাষী। এবং ফাঁকা এলাকার মধ্যেই বেশিরভাগ সময় বজ্রপাতে তড়িতাহিত হয়ে মৃত্য়ু হয়।