ছাত্রদের ক্লাস থেকে বের করে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ! অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

  • ক্লাসের ছাত্রদের বাইরে বের করে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগল উঠল স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে
  • অন্যান্য সময় ক্লাসেও নাকি তিনি ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীলতা করতেন তিনি
  • এই অভিযোগ তুলে বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানার অন্তর্গত পিড়াকাটা উচ্চ বিদ্যালয় ঘেরাও বিক্ষোভ করলেন অভিভাবকরা
  • পরে মেদিনীপুর লালগড় রোড অবরোধও করেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসেও হিমশিম খায় পুলিশ
     

swaralipi dasgupta | Published : Aug 1, 2019 6:24 AM IST

ক্লাসের ছাত্রদের বাইরে বের করে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগল উঠল স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অন্যান্য সময় ক্লাসেও নাকি তিনি ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীলতা করতেন তিনি। এই অভিযোগ তুলে বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানার অন্তর্গত পিড়াকাটা উচ্চ বিদ্যালয় ঘেরাও বিক্ষোভ করলেন অভিভাবকরা। পরে মেদিনীপুর লালগড় রোড অবরোধও করেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসেও হিমশিম খায় পুলিশ।

পিড়াকাটা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক গৌতম জানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি প্রায়ই ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেন। এমনকী, বিদ্যালয়ের বালিকা হোস্টেলে গিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ করেন সেই শিক্ষক। এই ঘটনার জেরে ছাত্রীদের মধ্যে একটা চাপা আতঙ্ক কাজ করছিল বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। 

আরও পড়ুনঃ হুগলি নদীতে ভাঙন! নদীগর্ভে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের বড় অংশ

এরই মাঝে মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষক একাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের নিয়ে আলাদা ক্লাস করাবেন বলে প্রস্তাব দেন। ছাত্রদের বেরিয়ে যেতে বলেন তিনি।  ছাত্রীদের রেখে জানালা দরজা বন্ধ করতেই কয়েকজন ছাত্রী প্রতিবাদ করে বেরিয়ে চলে আসে ক্লাস থেকে। 

বুধবার বেলা ১১ টার পরে বিদ্যালয় খুলতেই ঘেরাও করে পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, প্রধান শিক্ষককে অবিলম্বে বিদ্যালয় ত্যাগ করতে হবে। বিভাগীয় দফতরকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এই দাবিতে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখালে দিনভর পঠনপাঠন ব্যাহত হয়। পিড়াকাটা ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে। 

স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত পলমল বলেন, আমার ভাইঝি নিজে এই বিদ্যালয়ে পড়ে। তার অভিজ্ঞতা থেকেই জানতে পেরেছি প্রধান শিক্ষক গৌতম জানা ক্লাসে এলে কোন ছাত্রী ক্লাসে থাকতে চায় না। তার কারণ হল ওই শিক্ষক অনবরত অশ্লীল আচরণ করেন। বালিকা হোস্টেলেও একইভাবে নোংরামো চলে বলে জানান তিনি। 

বিদ্যালয়ের কোনও শিক্ষক শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষককে পছন্দ করেন না ঠিক এই কারণে। অভিভাবক ও অন্যান্য শিক্ষকদের দাবি, সরিয়ে দেওয়া হোক ওই প্রধান শিক্ষককে।  প্রধান শিক্ষক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার নামে কুৎসা ছড়ানো হচ্ছে। বিদ্যালয়ের জন্য আমি মন প্রাণ দিয়ে কাজ করি। ১৭ বছরের চাকরি জীবনে এই ধরনের অপবাদ পেয়ে আমি মর্মাহত। এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা যৌথভাবে পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন৷ 

Share this article
click me!