নেপথ্যে পরকীয়া, একসঙ্গে আত্মত্যার চেষ্টা দেওর-বউদির

  • গোপনে দেওরের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বউদি
  • সম্পর্ক গভীর হতেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন দু'জনে
  • পরিবারের লোকেরা তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেননি পরিবারে লোকেরা
  • গলা ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন ওই যুগল

Asianet News Bangla | Published : Oct 25, 2019 2:23 PM IST

কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকতেন। মাস পাঁচেক আগে বাড়ি আসার পর আর কর্মস্থলে ফিরে যাননি। কিন্তু দেওর-বউদি যে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, তা বাড়ির কেউ টের পাননি।  বৃহস্পতিবার রাতে দু'জনকে রক্তাক্ত অবস্থার উদ্ধার করেন পরিবারের লোকেরাই। তাঁদের সম্পর্কের কথাও জানতে পারেন সকলেই। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়।

কাটোয়ার  ভালশুনি গ্রামে বাড়ি রণজিৎ দাসের।  বাবা-মা ও দুই দাদাকে নিয়ে যৌথ পরিবার। বাড়ির বড়ছেলে রবি ও মেজো ছেলে রতন চাষাবাদ করেন। আর ছোটছেলে রণজিৎ অবিবাহিত, কেরলের রাজমিস্ত্রি কাজ করেন তিনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগে মেজো ছেলে রতনের সঙ্গে বিয়ে হয় মেমারি থানার সামন্তী গ্রামের লক্ষ্মীর। ওই দম্পতির কন্যাসন্তানের বয়স এখন আট মাস। এদিকে আবার দাদার বিয়ে মাস পাঁচেক আগে কেরল থেকে বাড়িতে ফেরেন রণজিৎ। আর কর্মস্থলে ফিরে যাননি। রতনের বিয়ের মাস দুয়েক বাদে ফের কর্মস্থলে ফিরে যান রণজিৎ। কিন্তু ততদিনে যে দেওর রণজিৎ-এর সঙ্গে লক্ষ্মীর বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, তা টের পাওয়া যায়নি। অন্তত পরিবারের লোকের দাবি তেমনই। বাড়ির লোকেদের দাবি, কেরলের থেকেও রোজই ফোনে লক্ষ্মীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন রণজিৎ।  দিন কয়েক আগে বাড়িতে ফেরেন রণজিৎ। 

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সকলের নজর এড়িয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান রণজিৎ ও লক্ষ্মী।  তাঁদের হাতে ছিল একটি ধারালো ছুরি। বাড়ির থেকে কিছু দুরে গিয়ে নিজেদের গলার ছুরি চালিয়ে যান। এদিকে বাড়িতে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে ভাই রণজিৎ-কে ফোন করেন লক্ষ্মীর স্বামী। তখন রণজিৎ-ই ফোনে গোটা ঘটনা কথা জানান। তড়িঘড়ি বাড়ি লাগোয়া আমবাগান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। দু'জনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।

কিন্তু হঠাৎ করে কেন আত্মহত্যা করতে গেলেন রণজিৎ ও লক্ষ্মী?  রণজিৎ-এর বক্তব্য, প্রথমে গোপনেই সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।  কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে সম্পর্ক মেনে নেননমি পরিবারের লোকেরা। তাই বাধ্য হয়েই একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন রণজিৎ ও লক্ষ্মীর। 

Share this article
click me!