আনুষ্ঠানিকভাবে ওই মহিলাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন নীহার রঞ্জন। চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের পাহারপুর ও সুতাহাটিতে তৃণমূলে যোগদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে প্রায় এক হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক।
পুজোর মুখে (Before Puja) খুশির হাওয়া মালদহে (Malda)। পুজোর আগেই অ্যাকাউন্টে ঢুকছে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের (Laxmir Bhandar scheme) টাকা। আর তাতে বেজায় খুশি বহু মানুষ। সেই কারণে আপ্লুত হয়ে বিভিন্ন দল ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে মালদহের চাঁচলে। গত দু'দিনে চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক হাজারের বেশি মানুষ বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্ত মহিলা (Woman) রয়েছেন বলে দাবি করেছেন চাঁচলের তৃণমূলের বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ (MLA Nihar Ranjan Ghosh)।
আনুষ্ঠানিকভাবে ওই মহিলাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন নীহার রঞ্জন। চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের পাহারপুর ও সুতাহাটিতে তৃণমূলে যোগদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে প্রায় এক হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের নয়া প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা একাধিক মহিলার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। তাই মহিলাদেরই বেশি যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন, By ELection: পুজো দিয়ে চতুর্থীর সকালেই উপনির্বাচনের প্রচারে খড়দহ-র BJP প্রার্থী জয় সাহা
এই প্রকল্পে টাকা পেয়ে সুচিত্রা দাস আপ্লুত হয়ে বলেন, "মেয়ে কন্যাশ্রী পাচ্ছে। আর শারদ উৎসবে আমারও একাউন্টে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের' দু'মাসের কিস্তির টাকা ঢুকেছে। এছাড়াও তৃণমূল সরকার আমাদের মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন। তাই বিজেপি ছেড়ে আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। পাশাপাশি আমার সংসদের সব মহিলাকেই তৃণমূলে যোগদান করিয়েছি।"
আরও পড়ুন- ২-৩ দিনেই বিদায় নেবে বর্ষা, অষ্টমী থেকে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতায়
তবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে চাঁচলের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি দেবনাথ পান্ডে। তিনি বলেন, "কয়েক জনকে ভয় ও অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে তৃণমূলে টেনেছে। আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প কদিন চলে সেটাই দেখব।"
আরও পড়ুন- পুজোর আনন্দের মাঝেই বিষাদের সুর চতুর্থীতে, গলফগ্রিনে রিজার্ভার পরিষ্কার করতে গিয়ে মৃত ২
মালদহের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদেও ভোট মিটে যাওয়ার পরই ৩ লাখের বেশই মহিলার অ্যাকাউন্টে (Bank Account) লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmi Bhandar Account) প্রকল্পে টাকা ঢুকেছে। ওই জেলায় ভোট (Assembly Election) মিটে যেতেই প্রায় ১০ লাখের (10 lakhs) বেশি মহিলা আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টে (Women Applicant) এই টাকা জমা পড়েছে। প্রথম দফায় ৩ লক্ষ মহিলা পুজোর মুখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে টাকা পেলেন। এই প্রকল্পের সৌজন্যে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে খুশির হাওয়া বইছে।