দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসারদের জনগণের আদালতে বিচার হবে। একই শাস্তি হবে দুর্নীতিপরায়ণ তৃণমূল নেতাদেরও। মাওবাদীদের নাম করে দেওয়া এমনই হুমকি পোস্টারে চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার সারেঙ্গায়। যদিও ওই পোস্টারগুলি সত্যিই মাওবাদীরা লাগিয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
এ দিন সকালে সারেঙ্গা থানা সংলগ্ন বিএলআরও অফিসের দেওয়ালে লাল কালি দিয়ে লেখা এই পোস্টারগুলি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পোস্টারগুলিতে দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদেরও গণ আদালতে বিচার করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষকেও পুলিশ এবং রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার বার্তা দেওয়া হয়।
পোস্টারগুলিতে সিপিআইএম লিবারেশনের নাম থাকলেও সত্যিই সেগুলি মাওবাদীদের কি না, তা নিয়ে পুলিশ কর্তাদের মধ্যেই সংশয় রয়েছে। কারণ সারেঙ্গা বা সংলগ্ন এলাকার গ্রামগুলিতে মাওবাদীরা আগের মতো সক্রিয় রয়েছে, এমন খবর পুলিশের কাছে নেই।
রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই জঙ্গলমহলে ধীরে ধীরে মাওবাদী উপদ্রব কমেছে। নিকেশ করা হয়েছে কিষেণজির মতো নেতাকে। ফের সেই জঙ্গলমহলে মাওবাদী পোস্টারকে তাই হাল্কা করে নিতে চাইছে না পুলিশও। কারণ একসময় এই সারেঙ্গাও মাওবাদী উপদ্রুত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ছিল। ২০০৯ সালের ৩ জুন এই সারেঙ্গাতেই ভরদুপুরে এক এসআই-সহ তিন পুলিশকর্মীকে গুলি করে হত্যা করে মাওবাদীরা। এর পরের বছরই ফেব্রুয়ারি মাসে মাওবাদী হামলা প্রাণ হারান সারেঙ্গা থানার আইসি রবিলোচন মৈত্র। এ ছাড়াও বাম আমলে একাধিক সিপিএম নেতা কর্মীদেরও সারেঙ্গায় খুন করে মাওবাদীরা। ফলে সোমবারের পোস্টারগুলির সত্যতা নিয়ে সংশয় থাকলেও সবদিক খতিয়ে দেখতে পুলিশ। গ্রামগুলিতেও বাড়ানো হচ্ছে নজরদারি।