লকডাউনের বাজারেও পর্যাপ্ত রেশন পাচ্ছেন না! স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে এবার ডিলারের বাড়িতে চড়াও হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আগুন জ্বালিয়ে চলল বিক্ষোভ। প্রাণ বাঁচাতে পরিবার-সহ পালিয়েছেন অভিযুক্ত রেশন ডিলার। ধুন্ধুমারকাণ্ড মু্র্শিদাবাদের সালারে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে দুর্ভোগের ইতি, রাজস্থান থেকে পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনল সরকার
তৃতীয় দফায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল আরও দুই মাস। এ রাজ্যে যাঁদের বিপিএল কার্ড আছে, তাঁদের রেশন থেকে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু তা নিয়েই যত গণ্ডগোল। বিভিন্ন জায়গায় রেশনে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত সামগ্রী না পেয়ে ক্ষোভ বাড়ছে গ্রাহকদের। এবার তালিকায় নাম উঠল মুর্শিদাবাদেরও। গ্রাহকদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সালার। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা পুলিশের।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে কোভিড আক্রান্ত চোখের ডাক্তার, ঝুঁকিতে আরও ২৭, আতঙ্ক স্বাস্থভবনেও
আরও পড়ুন: করোনার কোপ, কর্পোরেটে বড়সড় চাকরি পেয়েও হারাল যাদবপুরের ১২ জন পড়ুয়া
স্থানীয়দের অভিযোগ, যে পরিমাণ রেশন পাওয়ার কথা ছিল, তাঁরা তা পাচ্ছেন না। রেশন ডিলার কম রেশন দিয়ে চলেছেন। প্রশাসনের জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে শনিবার সকালে। লকডাউনের না মেনে অভিযুক্ত রেশন ডিলারের বাড়ির সামনে জমায়েত করেন অনেকেই। এমনকী, বাড়ি লক্ষ করে ইঁট ছোঁড়া ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শেষপর্যন্ত বাড়ির সামনে আগুন জ্বালান বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, ভয়ে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে নিয়ে অন্যত্র চলে যান ডিলার। ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকেও ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
রেশন থেকে নিম্নমানের চাল দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নদিয়ার নবদ্বীপেও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় নবদ্বীপ শহরের প্রাচীনমায়াপুর এলাকায়। বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে রেশন বিলি। শেষপর্যন্ত পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।