সংক্ষিপ্ত
এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে আক্রান্ত এক ডাক্তাJ
তার জেরে কোয়ারেন্টাইনে আরও ২৭ চিকিৎসক
স্বাস্থ্যভবনেও দেখা দিল সংক্রমণের আতঙ্ক
এর আগে ওই হাসপাতালের আরও দুই নার্স আক্রান্ত হয়েছিলেন
করোনাভাইরাস-এ আক্রান্ত হলেন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আরও এক ডাক্তার। শুধু তাই নয়, এই ডাক্তারবাবু আক্রান্ত হওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বহু কর্তা ব্যক্তি এবং আরও বেশ কয়েকজন ডাক্তারের। কারণ আক্রান্ত চক্ষু বিশেষজ্ঞ করোনাভাইরাস পজিটিভ হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার আগে বেশ কয়েকজন ডাক্তার ও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তার সঙ্গে অবাধে মেলামেশা করেছিলেন।
জানা গিয়েছে তাঁর শরীরের ক্রমে কোভিড-১৯'এর বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যাওয়ায় বৃহস্পতিবারই তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার সেই পরীক্ষার ফল ইতিবাচক আসে। এরপরেই তাকে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করা হাসপাতালে পাঠানো হয়৷
জানা গিয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল কলকাতা থেকে একটি বিশেষ বাসে করে শিলিগুড়ি ফিরেছিলেন তিনি। ওই বাসে আক্রান্ত চক্ষু বিশেষজ্ঞের সঙ্গেই ছিলেন আরও ২৭ জন চিকিৎসক। স্বাভাবিকভাবেই আইসিএনআরৃ-এর গাইডলাইন মেনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ওই সকল চিকিৎসককেই কোয়ারেন্টাইন অর্থাৎ পৃথকীকরণ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গে করোনাভাইরাস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার সুশান্তকুমার রায় জানিয়েছেন, 'বর্তমানে ওই চিকিৎসক চিকিৎসাধীন। তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের বেশ কিছু উপসর্গ থাকলেও তিনি ভালোই আছেন। তাঁর সংস্পর্শে আসা ডাক্তারবাবুদের কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে।
তবে শুধু ওই ২৭ জন ডাক্তারই নন, আক্রান্ত ওই ডাক্তার-এর সংস্পর্শে আসার কারণে খোদ স্বাস্থ্য ভবনেরি বহু আধিকারিকের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, যে বাসটিতে করে কলকাতা থেকে শিলিগুরি ফিরেছিলেন আক্রান্ত চক্ষু বিশেষজ্ঞ-সহ বাকি ২৭ জন, সেই বাসটির ব্যবস্থা করা হয়েছিল স্বাস্থ্যভবনের পক্ষ থেকেই। আরও জানা গিয়েছে শুকনো কাশি এবং হালকা জ্বর গায়ে নিয়েই ওই ডাক্তারবাবু বাসে চড়েছিলেন। তার আগে স্বাস্থ্যভবনে বহু কর্তাব্যক্তির সঙ্গেই সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। তাই রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের সদর দপ্তরেই এখন করোনা-আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আরও দুই নার্স কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে এখন তাঁরা দুজনেই সম্পূর্ণ সুস্থ। হাসপাতাল থেকে চাড়া পেয়ে বাড়িও ফিরে গিয়েছেন। আপাতত জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিশের পক্ষ থেকে কোথা থেকে ওই ডাক্তারবাবুর দেহে করোনাভাইরাস সংক্রামিত হল এবং তাঁর সঙ্গে কাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগ ঘটেছে, তার খোঁজ চালাচ্ছে।