সংক্ষিপ্ত

  • পুরুলিয়া থেকে পড়তে গিয়েছিলেন রাজস্তানে
  • লকডাউনে আটকে পড়েন পড়ুয়ারা
  • তাঁদের ফিরিয়ে আনল রাজ্য সরকার
  • স্বস্তিতে পরিবারের লোকেরা

ভিনরাজ্যে আটকে থেকে আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। রাজস্থান থেকে পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনল রাজ্য সরকার। পরিবহণ দপ্তরের বাসে চেপে পুরুলিয়ায় পৌঁছলেন ৫৮ জন। স্বস্তিতে পরিবারের লোকেরা।

আরও পড়ুন: রেড জোনের সংখ্যা নিয়ে বিরোধ, সংশোধিত তালিকা দাবি করে কেন্দ্রকে চিঠি বাংলার স্বাস্থ্যসচিবের

কোথাও ব্রজ আঁটুনি, কোথাও আবার বেশ কিছুটা ছাড়। তৃতীয় দফায় দেশজুড়ে লকডাউন মেয়াদ বাড়ল আরও দুই সপ্তাহ। লকডাউন চলবে ১৭ মে পর্যন্ত। করোনা মোকাবিলায় গোটা দেশকে কয়েকটি জোন বা এলাকায় ভাগ করেছে কেন্দ্রীয়  সরকার। অরেঞ্জ জোনে  (সংক্রমণের মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম) এবং গ্রিনজোনে (২১ দিনে কেউ সংক্রামিত হননি) মাত্রা হেরফের ঘটিয়ে অর্থনৈতিক কার্যকলাপে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে জমায়েত করার তো প্রশ্নই নেই। বিশেষ অনুমতি ছাড়া পুরোপুরি বন্ধ থাকবে বাস, ট্রেন ও বিমান পরিষেবাও। শুক্রবার রাতে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ৪ মে থেকে কার্যকর হবে সেই নির্দেশিকা।

 

আরও পড়ুন: মেয়াদ শেষেও কোয়ারেন্টাইনে , পায়ে হেঁটে ফিরতে গিয়ে বিপাকে ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা

আরও পড়ুন: টিকিয়াপাড়া কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ নিল পুলিশ, গ্রেফতার প্রধান অভিযুক্ত শাকিব সহ আরও ১৩

জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজস্থানে কোটায় পড়তে গিয়েছিলেন ৫৮ জন। সেখানে হস্টেলে থাকতেন তাঁরা।  বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না, লকডাউনে জেরে দুর্ভোগ বাড়ছিল ক্রমশই। এমনকী, হস্টেল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের উপর নানাভাবে চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। অবশেষে রাজ্য সরকারের উদ্যোগ বাড়ি ফিরতে পারলেন সকলেই।  শুক্রবার রাতে ফেরার পর ওই ৫৮ জন পড়ুয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো হাসপাতালে।  তাঁদের পুরুলিয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন।