ময়নাগুড়িতে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা হবার পর শুক্রবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি সিকিউরিটি লতিফ খান। যদিও তিনি এদিন বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেলেও তদন্তের সময়সীমা এবং কাদের কাদের বয়ান নেওয়া হবে বলে বার্তা দিয়েছেন।
ময়নাগুড়িতে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Maynaguri Rail Accident)হবার পর শুক্রবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি সিকিউরিটি লতিফ খান (Railway safety Security latif Khan )। যদিও তিনি এদিন বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেলেও তদন্তের সময়সীমা এবং কাদের কাদের বয়ান নেওয়া হবে বলে বার্তা দিয়েছেন।
কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি সিকিউরিটি লতিফ খান ঘটনাস্থলে এসে জানান, দুর্ঘটনার তদন্ত শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে। শেষ হতে ৬ মাস লাগবে। তবে এইটুকুতেই মজল না সাংবাদিকদের মন। ক্যামেরার সামনে থেকে সরে যাওয়ার আগেই ফের লোকো পাইলট নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হল। এই দুর্ঘটনার লোকো পাইলটের অবস্থান কী, জানতে চাওয়া হয় কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি সিকিউরিটি লতিফ খানের কাছে। যদিও এই বিষয়টি সরাসরি উত্তর দিতে নারাজ তিনি। উল্টে বলেন, এদিন তিনি এখানে সবে এসেছেন এখনও কারও সঙ্গে তেমন কথা হয়নি। লতিফ খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, 'সকলের বয়ান নেওয়া হবে, প্রত্যক্ষদর্শী বক্তব্য নেওয়া হবে। রেলের অফিসারদের বক্তব্য নেওয়া হবে। রেল লাইন, বগি এবং ইঞ্জিন সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন, Maynaguri Rail Accident: কখন প্রথম ঝাঁকুনি অনুভব করেন, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন চালক
প্রসঙ্গত, কোন সময়ে ঝাঁকুনি হয়েছে এটা বলা ছাড়া, সাংবাদিকদের বাকি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন খোদ ময়নগুড়িতে দুর্ঘটনায় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের চালক প্রদীপ কুমার। তবে এখনও অবধি সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের মুখে ভারতীয় রেল। কী করে এই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল, দুর্ঘটনার আগে না কি পরে ট্রাকশন মোটর খুলে গিয়েছিল। আর সেটা কি বুঝতে পারেননি লোকোপাইলট প্রদীপকুমার। যদিও এদিন একের পর এক প্রশ্ন আসলেও কার্যত রেলের তরফে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি সিকিউরিটি লতিফ খান হোক কিংবা লোকো পাইলটই হোক, প্রত্য়েকের এই নিয়ে মুখ বন্ধ। শুধু একটাই কথা, 'এনকোয়ারি বসবে।' আর এখানেই প্রশ্নের ঢেউ বাধা মানছে না। দেখতে দেখতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই দুর্ঘটনা সবচেয়ে কাছ থেকে যারা দেখে, তাঁদের অনেকেই এখন মৃত্যু সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তাঁরা ন্যায় বিচার পাবেতো, এনিয়েও প্রশ্ন উঠেছে যাত্রীদের পরিবারে।
অপরদিকে, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ভয় একদিকে তাঁড়া করে বেড়ালেও ময়নাগুড়ির এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা আতঙ্ক হয়ে মনে গেঁথে গিয়েছে উত্তরবঙ্গবাসীর। বিশেষ করে যে সকল স্থানীয়রা সরাসরি উদ্ধারকার্যে সাহায্য করেছে, তাঁদের কাছে এটা আরও বেশি প্রভাব ফেলবে। তবে দেখতে দেখতে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ চলে যাবে, পেরোবে ৬ মাস। ঠিক কী হয়েছিল, উত্তর না পাওয়া অবধি শুধু থামবে না এই প্রশ্নের ঢেউ।