দুর্ঘটনা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে দুমড়ে মুচড়ে যায় ট্রেনের বেশ কয়েকটি কামরা। কোনওটা আবার অন্য একটি কামরার উপর উঠে যায়। আর একটি কামরা লাইনচ্যুত হওয়ার পর পড়ে যায় জলে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজস্থান (Rajasthan) থেকে যাত্রা শুরু করেছিল বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস (Bikaner-Guwahati Express)। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ট্রেনটির পৌঁছনোর কথা ছিল অসমের গুয়াহাটিতে। কিন্তু, আর গন্তব্যে পৌঁছনো হয়নি। তার আগেই জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুলির কাছে লাইনচ্যূত হয়ে যায় ট্রেনটি (Train)। ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী হন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯। আহত হয়েছেন ৪২ জন। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল ও জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
দুর্ঘটনা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে দুমড়ে মুচড়ে যায় ট্রেনের বেশ কয়েকটি কামরা। কোনওটা আবার অন্য একটি কামরার উপর উঠে যায়। আর একটি কামরা লাইনচ্যুত হওয়ার পর পড়ে যায় জলে। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে ট্রেনের মধ্যে থেকে আহত ও মৃতদের দেহ উদ্ধার করা হয়। আজ সকালেই শেষ হয়ে যায় উদ্ধারকাজ। তারপর লাইন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কামরাগুলিকে সরানোর কাজ শুরু হয়। এমনকী, আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। পাশাপাশি সকালে দুর্ঘটনাস্থলে যান আলিপুরদুয়ারের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা।
আরও পড়ুন- কখন প্রথম ঝাঁকুনি অনুভব করেন, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন চালক
এই দুর্ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে অনেকেই কোচবিহারের (Coochbehar) বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। একজন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাসিন্দাও রয়েছেন। পাশাপাশি আহতদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রেল। গুরুতর আহতরা পাবেন ১ লক্ষ টাকা করে। অল্প বিস্তর চোট পেয়েছেন যাঁরা, তাঁদের ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) পরিস্থিতি বিশদে জানানো হয়েছে। সিগনাল বা পয়ন্টের সমস্যা নয়, লাইনের ত্রুটি থেকেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর ধারণা রেল আধিকারিকদের। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।