করোনা অতিমারির কারণে এবার গঙ্গাসাগর মেলায় জমায়েত কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে গঙ্গাসাগরের জল পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে প্রশাসনের মাধ্যমে সেই জল পৌঁছয় তারাপীঠ মন্দির চত্বরে।
করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে আয়োজন করা হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলার। এদিকে এবার সেখানে বেশিমাত্রায় পুণ্যার্থীদের জমায়েত করতে বারণ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বলা হয়েছিল, গঙ্গাসাগরের জল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হবে। আর সেই মতোই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গঙ্গাসাগরের জল গিয়ে পৌঁছল তারাপীঠ মন্দিরে। সেই জলে মা তারার পা ধোয়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য মন্দিরেও সেই জল দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যাঁরা গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান (Holy Dip) করতে পারেনি তাঁদের মাথায় সেই জল ছিটিয়ে দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তারাপীঠ মন্দিরে গিয়ে ওই জল মাথায় ঢেলে গঙ্গাসাগরে স্নান যাত্রার স্বাদ পূরণ করেন তাঁরা।
করোনা (Corona) অতিমারির কারণে এবার গঙ্গাসাগর মেলায় (Gangasagar Mela) জমায়েত কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে গঙ্গাসাগরের জল পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে প্রশাসনের মাধ্যমে সেই জল পৌঁছয় তারাপীঠ মন্দির (Tarapith Temple) চত্বরে। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কাছে আগেই খবর ছিল মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে বিভিন্ন ধর্মীয়স্থানে জল পাঠাচ্ছেন। আমরা সেই মতো প্রস্তুত ছিলাম। গঙ্গাসাগরের চার নম্বর ঘাট থেকে জল ভরে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন। দুপুরে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের অফিস থেকে সেই জল পৌঁছে দেওয়া হয়। ওই জল দিয়ে প্রথমে আমরা মা তারার দুটি চরণ ধুয়ে দিই। এরপর মন্দির চত্বরের অন্যান্য মন্দিরও পবিত্র জল দিয়ে ধুয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের ইচ্ছা থাকলেও যাঁরা যেতে পারেননি এমন কিছু পুণ্যার্থীর মাথায় গঙ্গাসাগরের জল ছিটিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে খুশি আমরা।”
আরও পড়ুন- উধাও করোনাবিধি, মকর সংক্রান্তিতে ভোর থেকেই গঙ্গাসাগরে চলছে পুণ্যস্নান
মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে খুশি তারাপীঠে পুজো দিতে আসা পুণ্যার্থীরাও। কলকাতা থেকে তারাপীঠে আসা অভিক রায় বলেন, “এবার গঙ্গাসাগর গিয়ে স্নানের ইচ্ছে ছিল। কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি। তাই তারাপীঠে চলে এসেছি। কিন্তু, এখানে এসে যে গঙ্গাসাগরের জল পাব তা ভাবতেও পারিনি। তারাপীঠ মন্দিরে গঙ্গাসাগরের জল পেয়ে আমরা ধন্য।”
আরও পড়ুন- ড্রোন দিয়ে চলছে পুণ্যস্নান, কোভিড বিধি মানতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ
অন্যদিকে আজ মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) শুরু হয়ে যায় পুণ্যস্নান। ভোর হতে না হতেই গঙ্গাসাগরের সৈকতে জনজোয়ার দেখা যায়। আলো ফোটার আগেই সেখানে ফুটে ওঠে বিধিভঙ্গের ছবি। কাতারে কাতারে পুণ্যার্থী (Devotee) ভিড় জমান সমুদ্র সৈকতে। ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় স্নান। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ই-স্নানের উপরই বেশি জোর দিয়েছিল প্রশাসন। গঙ্গাসাগর মেলায় যাতে করোনাবিধি (Corona Restriction) সঠিকভাবে পালন করা হয় সেই বিষয়ে তৎপর জেলা প্রশাসন। যদিও প্রশসানের নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই চলে পুণ্যস্নান।