শনিবার ভয়াবহ মেট্রো দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল কসবার বাসিন্দা সজল কাঞ্জিলালের। তার তিন দিন পর সজলবাবুর বাড়িতে গেলেন মেট্রো রেলের কর্তারা। যদিও, ক্ষতিপূরণ নিয়ে তাঁরা কোনও কথাই বলেননি বলে পরিবারের দাবি।
আরও পড়ুন- হাত ঢুকিয়ে মেট্রোর দরজা আটকানো, এবার কি শিক্ষা নেবেন যাত্রীরা
এ দিনই মৃত সজলবাবুর শ্রাদ্ধ ছিল। মেট্রো রেলের চিফ অপারেশনস ম্যানেজার সাত্যকি নাথ, মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন মেট্রো কর্তা কসবায় সজলবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। সজলবাবুর ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাও জানান তাঁরা। যে ঘটনা ঘটেছে, তা ঠিক হয়নি বলেও পরিবারের সদস্যদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন মেট্রো কর্তারা। ঘটনায় কারও গাফিলতি থাকলে কড়া শাস্তির আশ্বাসও দেন মেট্রো রেলের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- শুরু থেকেই বিভ্রাট, শনিবারের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় কি ভিলেন মেট্রোর নতুন রেক
যদিও সজলবাবুর পরিবারের দাবি, এ দিন মেট্রো কর্তাদের সামনে তাঁরা ক্ষতিপূরণের বিষয়টি তুলেছিলেন। কিন্তু সে বিষয়ে মেট্রো রেলের আধিকারিকরা কোনও মন্তব্যই করেননি বলে অভিযোগ। যদিও দুর্ঘটনার পরেই মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, রেলের নিয়ম মেনেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে যাত্রীর পরিবারকে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য সজলবাবুর পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ঘটনার দিনই সজলবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। ইতিমধ্যেই মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ এনেছে সজলবাবুর পরিবার।
শনিবার সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিট স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠার সময় মেট্রোর দরজাতেই হাত আটকে গিয়েছিল সজলবাবুর। সেই অবস্থাতেই ট্রেন চলতে শুরু করে। দরজায় ঝুলতে থাকা সজলবাবু সুড়ঙ্গের মধ্যে পড়ে যান। থার্ড রেলে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। মেট্রো রেলের ইতিহাসে বেনজির এই দুর্ঘটনার পরেই যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন রেলের সেফটি কমিশনার।