রায়গঞ্জে সংক্রমণ বাড়তেই ৪ টি মাইক্রো কনটেন্টমেন্ট জোন থেকে বাড়িয়ে ৯ টি কন্টেইনমেন্ট জোন করেছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ। করোনার দাপট প্রতিরোধে এবার রায়গঞ্জের পথে নামল রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
রায়গঞ্জ পুরসভা (Raignaj Municipality) এলাকাতেই শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত্রের সংখ্যা পঞ্চাশের কাছাকাছি পৌছে গিয়েছে। ৪ টি মাইক্রো কনটেন্টমেন্ট জোন থেকে বাড়িয়ে ৯ টি কন্টেইনমেন্ট জোন করেছে রায়গঞ্জ পুরসভা কর্তৃপক্ষ। সবকটি কন্টেইনমেন্ট জোন স্যানিটাইজিং করার পাশাপাশি রায়গঞ্জ শহরজুড়ে সচেতনতার লক্ষ্যে মাইকিং এবং মাস্ক বিলি করছে রায়গঞ্জ পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তবে রায়গঞ্জ শহরে তিনগুন কন্টেইনমেন্ট জোন হয়ে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আর এহেন পরিস্থিতিতে করোনার দাপট প্রতিরোধে এবার রায়গঞ্জের পথে নামল রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও রায়গঞ্জ থানার পুলিশ (Raiganj Police)।
নতুন বছর শুরু হতেই উত্তরোত্তর করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে রায়গঞ্জ শহরজুড়ে। ফলে রায়গঞ্জ পুরসভা কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধি করতে হচ্ছে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যাও। ইতিমধ্যে রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্কুলে চলছে ছাত্রছাত্রীদের কোভিড টীকাকরণ কর্মসূচী। ফলে বাড়ছে আতঙ্ক। রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, এর আগে পুরসভা এলাকায় ৪ টি কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছিল কিন্তু করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে রায়গঞ্জ পুরসভা এলাকায় ৯ টি কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। প্রতিটি কন্টেইনমেন্ট জোন এলাকায় নিয়মিত স্যানিটাইজিং করার পাশাপাশি যেসব স্কুলগুলোতে কোভিড টীকাকরণ কর্মসূচী চলছে সেসব স্কুলেও স্যানিটাইজিং করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি রায়গঞ্জ পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলর করোনা প্রতিরোধে ঝাঁপয়ে পড়ে কাজ করে চলেছেন। প্রতিদিন রায়গঞ্জ শহরের প্রতিটি এলাকায় বাজারে সাধারন মানুষ ও ব্যাবসায়ী দোকানদাদের মধ্যে মাস্ক বিলি করা হচ্ছে। চলছে মাইকিংয়ের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধে সচেতনামূলক প্রচার।
করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব এবং ওমিক্রনের দাপট প্রতিরোধে এবার রায়গঞ্জের পথে নামল রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। রায়গঞ্জের ব্যাবসায়ী সংগঠন রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং রায়গঞ্জ থানার পুলিশের যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার রায়গঞ্জ মোহনবাটি বাজারে সাধারন মানুষ থেকে ক্রেতা বিক্রেতা সকলের মুখে মাস্ক পড়িয়ে দেন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা এবং রায়গঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। রায়গঞ্জ শহরের গোশালা বাজার থেকে শুরু করে মোহনবাটি বাজার, রেলস্টেশন বাজার, বন্দর বাজার ও দেবীনগর বাজারে এই মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। রায়গঞ্জ শহরের রাজপথ ধরে দুধারের পথচলতি সাধারন মানুষ, ব্যাবসায়ী, দোকানদারদের মধ্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করার পাশাপাশি মাইকিং করে সচেতন করলেন রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনু বন্ধু লাহিড়ী বলেন, 'রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং রায়গঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকদের যৌথ উদ্যোগে সাধারন মানুষকে করোনা বিধি মেনে চলার জন্য প্রচার এবং মাস্কহীন মানুষদের মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। রায়গঞ্জ শহরের সবকটি বাজারেই ক্রেতা বিক্রেতাদের সচেতন করতেই এই উদ্যোগ। পথেঘাটে যেসব মানুষ মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেড়িয়েছেন তাদের হাতে সার্জিক্যাল মাস্ক তুলে দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন বাজার ও জনবহুল এলাকায় সাধারণ মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা এবং মাস্ক ব্যাবহার করার আবেদন জানানোর কাজ শুরু করেছি।' শুক্রবার শীতের সকালেই রায়গঞ্জ শহরের মানুষকে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউকে প্রতিরোধ করার জন্য সমস্ত ব্যাবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও রায়গঞ্জ থানার আধিকারিকদের নিয়ে পথে নামলেন রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক অতনু বন্ধু লাহিড়ী ও রায়গঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকেরা।
অতনু বন্ধু লাহিড়ী বলেন,' যেভাবে করোনা আক্রমণ বাড়ছে, তা প্রতিরোধের একমাত্র উপায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যাবহারের পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা। আমরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে রায়গঞ্জ শহরের সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যেই মাস্ক বিলি ও মাইকিং এর মাধ্যমে সচেতন করার উদ্যোগ গ্রহন করেছি।' রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং রায়গঞ্জ থানার পুলিশের এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রায়গঞ্জবাসী।'