আশিস মণ্ডল, বীরভূম: আর্থিক অনটনের জেরে আত্মহত্যা করলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক। যদিও অনটনের কথা অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। ঘটনার তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন বীরভূম জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা।
আরও পড়ুন: অনুব্রতকে 'হুমকি' দিয়ে গ্রেফতার, তৃণমূল নেতার বাড়িতে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ
মৃতের নাম নাম নুপুর মাল। বাড়ি, বীরভূমের মুরারই থানার মহুরাপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নুপুর রাজমিস্ত্রির কাজ করতে কেরলে গিয়েছিলেন তিনি। রোজগারও মন্দ হচ্ছিল না, স্বচ্ছলভাবে চলে যাচ্ছিল সংসার। আর পাঁচজন পরিযায়ী শ্রমিকের মতো লকডাউনের জেরে কাজ হারান নূপূরও। মৃতের ভাই রুপ মাল বলেন, 'বাড়িতে আর্থিক সংকট নিত্যসঙ্গী। কেরলে আয়ের সমস্ত টাকা খরচ করে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছিল। ফলে বাড়িতে কোন টাকা পয়সা দিতে পারেনি। বাড়ি ফিরে কোন কাজ পায়নি। ফলে পরিবারে অশান্তি চলছিল। সেই কারণে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দাদা।'
আরও পড়ুন: গ্রামের ভিতর পুলিশের তল্লাশি অভিযান, ঘরের আনাচে-কানাচে উদ্ধার তাজাবোমা
যদিও অভাবে তাড়নায় যে ওই পরিযায়ী শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন, তা মানতে রাজি নন স্থানীয় মহুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বদরুন্নেশা বেগম। তাঁর বক্তব্য. 'এখানে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে। সবার খোঁজ রাখা সম্ভব নয়। তবে যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁরা কাজ পেয়েছেন। নুপুর কাজের জন্য আবেদন করেননি, তাই কাজ পাননি।' যদিও জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, 'বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। এমনটা হওয়ার কথা নয়।'