কনকনে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বন্ধ ঘরে কাঠ-কয়লার উনুন জ্বালিয়ে রাখলে যে বিপদ হতে পারে, তা মাথায় ছিল না। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হল একজনের। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তিনজন। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলে সালানপুরে।
ঝাড়খণ্ডের দুমকায় বাড়ি প্রকাশ সাউয়ের। কাজের সুবাদে আসানসোলের সালানপুরে দেন্দুয়া এলাকায় ভাড়াবাড়িতে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে থাকেন তিনি। নতুন বছর শুরুতে আসানসোল-সহ গোটা রাজ্যে জাকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। সকালের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকলেও, রাতে কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে শীত। দরজা-জানলা খুলে রাখার তো প্রশ্নই নেই। রাতে ঘরে কাঠ-কয়লার উনুন জ্বালিয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে শুয়েছিলেন প্রকাশ ও তাঁর স্ত্রী গুড়িয়া। প্রকাশের বোন অনিতা জানিয়েছেন, 'সকালে দাদা আমায় ফোন করে বলে, ঘুম থেকে উঠতে পারছে না, শরীর খারাপ লাগছে। বউদি ও ভাইপোও ঘুমাচ্ছে।' ফোন পাওয়ার পর তড়িঘড়ি প্রকাশের ভাড়াবাড়িতে যান অনিতা। দেখেন, ঘরের সমস্ত দরজা-জানলা বন্ধ। প্রতিবেশীর সাহায্য়ে ঘরের দরজা ভেঙে প্রকাশ, তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে তিনিই উদ্ধার করেন বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রবল ধোঁয়ার জ্ঞান হারিয়েছিলেন সকলেই। প্রকাশের বড় ছেলে বছর বারো সোনু হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রকাশ, তাঁর স্ত্রী ও ছোট ছেলে গুরুতর অসুস্থ।
আরও পড়ুন: নৈহাটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, কেঁপে উঠল প্রায় ১০ কিমি জুড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা
জানা গিয়েছে, আসানসোলের সালানপুরের দেন্দুয়া এলাকায় চপ-তেলেভাজার ব্যবসা করেন প্রকাশ। ঠেলায় চপ নিয়ে বিঊিন্ন এলাকায় বিক্রি করেন তিনি। দুই ছেলেকে নিয়ে দেওঘরে গিয়েছিলেন প্রকাশ, ফেরেন বুধবার রাতে। এর আগে সোমবারও টিউশনি পড়তে গিয়ে কাঠ-কয়লার উনুনের ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ১০ জন শিশু। সেবার বরাতজোরে রক্ষা পায় সকলেই।