নৈহাটির বাজি কারখানায় বড় সড় বিস্ফোরণে কেঁপে গেল দেবক এলাকা। খবর পেয়েই পৌছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং দমকলের আধিকারিকরা। শুক্রবার সকালে এই বাজি বিস্ফোরণে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং গুরুতর আহত অবস্থায় ৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কারখানার মালিক নূর হুসেন ইতিমধ্য়েই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।
আরও পড়ুন, স্কুলে না এসেই খাতায় সই, শিক্ষকদের শিক্ষা দিলেন অভিভাবকরা
ওই বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, প্রায় ১০ কিমি বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে মৃদু ভূকম্পণ হয়। শুধু তাই নয় গঙ্গার অন্য়পারের বাসিন্দারাও কেঁপে ওঠে এই বিস্ফোরণে। চূচূড়ার প্রেমনগর, আখড়াবাজার সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন যে, এই বিস্ফোরণে রীতিমত তারাও কম্পন অনুভব করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলেছিল এই বিস্ফোরণ। ওই বাজি কারখানায় বহু মহিলা ও শিশু শ্রমিক কাজ করে। তাই হতাহতের সংখ্য়া আরও বেশী হতে পারতো বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী। তবে প্রথমটায় কেউ বুঝতে পারেননি এটা যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরন ঘটেছে। স্থানীয়দের কথায়, তাদের মনে হয়েছে প্রথমটায় কোনও বিমান ভেঙে পড়েছে বোধয়। তারপরে বেলা গড়াতেই সবাই আসল ঘটনা জানতে পারে।
আরও পড়ুন, বজ্রবিদ্যুৎ সহ শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্য়ে, পাহাড়েও হতে পারে তুষারপাত
খবর পেয়েই দমকলের কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছে। অবশ্য় আগুন নেভানোর কাজে সাহায্য় করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর আগেও একবার বড়সড় বিস্ফোরণ হয়েছিল। একবছর আগে সেই বিস্ফোরণে ৫ জনের মৃত্য়ু হয়েছিল। তারপরেও কীকরে ওই বেআইনি বাজি কারখানা অবাধে চলছিল, এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাসিন্দারা।