হাওড়া জেলা হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ রোগী, দেহ মিলল দেড় কিমি দূরে

এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আজ সকালে গিরিশবাবুর মেয়ে মর্গে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করেন।

Asianet News Bangla | Published : Jul 17, 2021 1:45 PM IST / Updated: Jul 17 2021, 07:21 PM IST

হাওড়া জেলা হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন এক রোগী। অবশেষে একদিন পর ফরশোর রোড থেকে মিলল তাঁর দেহ। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। 

আরও পড়ুন- "করোনাবিধি মেনে চলুন", রাজ্যবাসীর কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ ফিরহাদের

জগাছার বাসিন্দা গিরিশ অধিকারী(৪৬)। বুকে ব্যথা নিয়ে ১৪ জুলাই দুপুরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ১৫ তারিখ রাত ৮টা পর্যন্ত তাঁকে হাসপাতলে দেখেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তারপর তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। এরপর রাত ১০টা নাগাদ তিনি হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান বলে অভিযোগ। ১৬ জুলাই সকালে শিবপুর থানার অন্তর্গত ফরশোর রোডের কাছে ওই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, ওখানেই যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সিভিক ভলান্টিয়াররা। তারপর তারা খবর দেয় শিবপুর থানায়। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে ফের হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখনই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 

আরও পড়ুন- ভারতের করোনা সংক্রমণ নিয়ে নেতিবাচক কভারেজ পশ্চিমী মিডিয়ার, বলছে সমীক্ষা

এদিকে রোগী নিখোঁজ হওয়ার পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাওড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল। এরপর জগাছা থানার তরফে পরিবারের সদস্যদের গোটা ঘটনার কথা জানানো হয়। পরিবারের সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু, তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তারপর আজ সকালে তাঁরা হাওড়া থানার দ্বারস্থ হন। তখন হাওড়া থানার পুলিশ জানান, শুক্রবার বিকেলে ফরশোর রোডের কাছ থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই ছবি দেখে বাবাকে শনাক্ত করেন গিরিশবাবুর মেয়ে। পুলিশের তরফে জানানো হয় শুক্রবার বিকেলেই গিরিশবাবুর ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। 

এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আজ সকালে গিরিশবাবুর মেয়ে মর্গে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীদের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা। এর পিছনে বড় ধরনের রহস্য আছে। নাহলে কীভাবে হাসপাতাল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে মৃতদেহ পাওয়া যায়। 

আরও পড়ুন- জমি নিয়ে বিবাদ, বাবাকে খুন করে নদীর পাড়ে পুঁতল ছেলে

যদিও হাওড়া জেলা হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মণ্ডল বলেন, "হাসপাতাল থেকে প্রায়ই রোগীরা নিখোঁজ হতে পারে। এটা কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। ওই রোগী কীভাবে পালালো তা নিয়ে তদন্ত করা হবে। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে।"

Share this article
click me!