সংক্ষিপ্ত
শ্রীকান্তকে নিয়ে দ্বারকেশ্বর নদের পাড়ে যায় পুলিশ। সেখানে বালির মধ্যে থেকে চাপা দেওয়া অবস্থায় দেহ উদ্ধার করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর ব্লকের বিডিও প্রিয়ঙ্কা হাটি।
বাবাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই ছেলে। এদিকে পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়েন মেজো ছেলে। জানিয়ে দেন, বাবাকে খুন করে গ্রামের পাশে দ্বারকেশ্বর নদের পাড়ে পুঁতে দিয়েছে সে। পরে পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নদীর পাড় থেকে বালি সরিয়ে সেই দেহ উদ্ধার করা হয়। পুরুলিয়ার কাশিপুর থানার আমলা বহাল গ্রামের ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন- শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হিজবুল মুজাহিদিনের নাম করে হুমকি সিডি, আতঙ্ক রায়গঞ্জে
আমলা বহাল গ্রামের মহেশ্বর সোরেনের (৭২) তিন ছেলে। বড় জয়দেব সোরেন, মেজো শ্রীকান্ত সোরেন এবং ছোটো ছেলে সঞ্জয় সোরেন। জয়দেব এবং সঞ্জয় খড়্গপুরে একটি ঠিকাদারের কাছে কাজ করেন। সেখানেই থাকেন তাঁরা। বাড়িতে বাবাকে নিয়ে থাকতেন শ্রীকান্ত ও তাঁর স্ত্রী নমিতা। তবে মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে আসতেন জয়দেব ও সঞ্জয়। গতকালও তাঁরা বাড়িতে আসেন। কিন্তু, বাড়িতে ঢুকে বাবাকে কোথাও দেখতে পাচ্ছিলেন না। বাবাকে দেখতে না পেয়ে শ্রীকান্তকে জিজ্ঞাসা করেন তাঁরা। তখন দুই ভাইকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে শ্রীকান্ত। এদিকে বাড়ির মধ্যে রক্তের দাগ দেখতে পান জয়দেব ও সঞ্জয়। তা দেখে দুই ভাইয়ের সন্দেহ হয়।
আরও পড়ুন- 'কাশ্মীর' নয়, এই প্রথম 'শিক্ষক নিয়োগ' ইস্যু, হিজবুল মুজাহিদিনের হুমকি সিডি আদৌ কতটা সত্যি
এরপর বাধ্য হয়ে গতকাল বিকেলে কাশিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সঞ্জয়। বাড়িতে থাকা রক্তের দাগের বিষয়টিও পুলিশকে জানান তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কাশিপুর থানার পুলিশ আমলা বহাল গ্রামে গিয়ে শ্রীকান্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে শ্রীকান্ত। জানায়, ১৩ জুলাই সে নিজেই মহেশ্বরকে খুন করে গ্রামের অদূরে দ্বারকেশ্বর নদের পাড়ে বালিতে পুঁতে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- লম্বা লাইনে আর নয়, এবার মাত্র ৫ মিনিটে ব্যাগ ভর্তি রেশন পাবেন ATM থেকে, জানুন কীভাবে
শ্রীকান্তকে নিয়ে দ্বারকেশ্বর নদের পাড়ে যায় পুলিশ। সেখানে বালির মধ্যে থেকে চাপা দেওয়া অবস্থায় দেহ উদ্ধার করা হয়। উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর ব্লকের বিডিও প্রিয়ঙ্কা হাটি। এরপর শ্রীকান্ত ও নমিতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মহেশ্বর সোরেনের দেহ আজ ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া দেবেন মাহাত গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পরই কাশিপুর থানায় যান পুরুলিয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিনাকি দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, জমি নিয়ে বিবাদের জেরেই বাবাকে সে খুন করেছে বলে জেরায় জানিয়েছে শ্রীকান্ত।