সংক্ষিপ্ত

আজ কলকাতাবাসীকে করোনাবিধি সঠিকভাবে মেনে চলার জন্য হাতজোড় করে অনুরোধ করলেন কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।

গোটা বিশ্বেই করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবার দেশেও আছড়ে পড়তে পারে এই ঢেউ। ইতিমধ্যেই বাংলায় করোনা মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার একমাত্র ওষুধ টিকাকরণ। সেটা যদি সঠিকভাবে হয় তাহলে রোগের সঙ্গে মোকাবিলায় করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। পাশাপাশি কপোনাবিধি মেনে চলাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ কলকাতাবাসীকে করোনাবিধি সঠিকভাবে মেনে চলার জন্য হাতজোড় করে অনুরোধ করলেন কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।

আরও পড়ুন- দেবাঞ্জন কাণ্ড এবার সুপ্রিম কোর্টে, হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে CBI তদন্তের দাবি

সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "হাতজোড় করে কলকাতাবাসীর কাছে অনুরোধ করছি সকলেই করোনাবিধি মেনে চলুন। নিরাপদে থাকুন না হলে আগামী দিনে করোনা আরও বাড়তে পারে।"

এরপর রাজ্যে করোনা টিকার ঘাটতি সম্পর্কে তিনি বলেন, "এরাজ্যে টিকা খুব কম আসে। প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ১৫ শতাংশ টিকা পাওয়া যাচ্ছে। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আগামী দিনে তীব্র সংকটের মধ্যে পড়তে হবে কলকাতাবাসীকে। তার আগেই টিকাকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।" 

আরও পড়ুন- বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মথায় বসলেন পদ্মশ্রী-প্রাপ্ত ডাক্তার, লন্ডন থেকেই যোগ দিয়েছিলেন সংগঠনে

সম্প্রতি করোনার তৃতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল জানিয়েছে করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গের দিকে এগিয়ে চলছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু ভারতে করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গকে রুখে দেওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে তিনি বলেন, "তৃতীয় তরঙ্গের হাত থেকে রেহাই পেতে আগামী ১০০ দিন আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।" আর সেই কথা মাথায় রেখেই রাজ্যবাসীকে করোনাবিধি মেনে চলার জন্য হাতজোড় করে অনুরোধ করলেন ফিরহাদ। 

আরও পড়ুন- মালা থেকে বরণ ডালা, টোকিওতে 'যুদ্ধজয়ের' লক্ষ্যে বীরের সংবর্ধনা পেল ভারতীয় হকি দল

তবে করোনা পরিস্থিতির জন্য রাজ্যে পোলিও টিকাকরণ বন্ধ নেই বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, "পোলিও টিকাকরণ ১০০ শতাংশ চলছে। করোনার জন্য পোলিও টিকা বন্ধ থাকছে না। সমান তালে পোলিও টিকা দেওয়া হচ্ছে। খুব দুঃখজনক ব্যাপার সাধারণ মানুষের উপর বোঝা বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। পর্যাপ্ত টিকা আসলে কলকাতায় টিকাকরণ প্রক্রিয়া এতদিনে শেষ হয়ে যেত।"