নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি ইস্যুতে কেন্দ্রকে একহাত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন মুখ্যসচিবের দিল্লিতে বদলির চিঠি আচমকা আসা বেশ আশ্চর্যের। ১০ই মে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছিল রাজ্যের সাইক্লোন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অবসর নেওয়ার সময় তিন মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক মুখ্যসচিবের। সেই চিঠির উত্তর আসে ১৫দিন পরে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবসর গ্রহণের তারিখ ছিল ৩১শে মে। তার থেকে তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
মমতা বলেন আচমকা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লি তলব করে কি প্রমাণ করতে চাইছে কেন্দ্র। কোন আইনের বলে এই তলব করেছে কেন্দ্র, তা জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন স্বাধীনতার এত বছরেও এই ধরণের আচরণ কোনও রাজ্যের সাথে কখনও কোনও কেন্দ্র সরকার করেনি। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে অপমান করেছে কেন্দ্র। গোটা রাজ্যকে অপমান করা হচ্ছে। রাজ্যের কাজে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই ধরণের কাজ অসাংবিধানিক, অবৈধ। রাজ্যের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করার সৌজন্য পর্যন্ত দেখায়নি কেন্দ্র, যা রীতিমতো অপমানজনক।
নবান্নে এদিন মমতা বলেন একতরফা ভাবে রাজ্যের একজন মুখ্য সচিবকে অপমান করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। কেন এরকম ব্যবহার করা হচ্ছে, এদিন প্রশ্ন করেন মমতা। গণতান্ত্রিক কাঠামো ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভেঙে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র বলে অভিযোগ করেন মমতা। তিনি বলেন প্রতি ক্ষেত্রে বাংলাকে টার্গেট করা হচ্ছে। বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। টাকা দেওয়া হচ্ছে না।
দিল্লিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রকের মন্ত্রীরা নানাভাবে হেনস্থা করেছেন। মুখ্য সচিবকে হেনস্থা করা হচ্ছে। এই চিঠি প্রত্যাহার করা হোক। কেন্দ্রের কাছে আবেদন রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাজ করতে দেওয়া হোক মানুষের জন্য। সাইক্লোন বিধ্বস্ত ও করোনা কবলিত মানুষের জন্য রাজ্য প্রশাসন খাটছে, সেই কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে কেন্দ্র। এই রাজনীতি বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।