সাতসকালেই রাস্তায় ছড়িয়ে আছে রাশি রাশি টাকা। হাজার হাজার টাকা কুড়িয়ে নিয়েও চিন্তা বাড়ল রায়গঞ্জবাসীর। অনেকেরই ধারাণা করোনার লালারস লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই টাকায়। পরিস্থিতির সামাল দিতে ওই টাকা কুড়িয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোরের আলো ফুটতেই রায়গঞ্জ শহরের কুমারডাংগী এলাকার রাস্তায় হাজার হাজার টাকা পড়ে থাকতে দেখে কিছু বাসিন্দা । ঘুম থেকে উঠতেই যেন স্বপ্নপুরণ হতে দেখে দেরি না করে টাকার বান্ডিল তুলে সোজা পকেটে পুরে নেন কিছু মানুষ। টাকা পকেটে নিয়েই যেন হুঁশ ফেরে তাদের। নোট গুলোকে কেন রাস্তায় ছড়িয়ে দিল বাইকার? টাকার মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আছে কিনা তা নিয়ে ধন্ধে তারা। এমনই আশঙ্কায় ভীত রাস্তা থেকে কুড়িয়ে নেওয়া টাকা সংগ্রহকারীদের মনে।
শুনতে গল্প মনে হলেও এই ঘটনা সত্যি। মঙ্গলবার সকাল প্রায় ছ'টা নাগাদ রায়গঞ্জের বন্দর এলাকার ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন কুমারডাঙীর দিক থেকে মোটর বাইকে চেপে দুজন রায়গঞ্জ শহরের দিকে আসছিলেন। সে সময় বন্দর পোষ্ট অফিসের সামনে দিয়ে ওই বাইক আরোহীরা বেশ কিছু টাকা রাস্তায় ছিটিয়ে চলে যায়। পেছন থেকে স্থানীয়রা চিৎকার করে ডাকাডাকি করলেও ওই বাইক আরোহীরা তাতে কর্ণপাত না করে সোজা গন্তব্যের উদ্দ্যেশ্যে চলে যায়।
এদিকে রাস্তায় বেশ মোটা অঙ্কের টাকা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ রাস্তা থেকে কুড়িয়ে যে যার মত টাকা পকেটে পোড়েন বলে অভিযোগ। কিন্তু এরপরই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তারা। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে টাকা সংগ্রহকারীদের ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয় বলে স্থানীয়রা জানান। তবে কারা এমন ঘটনা ঘটালো তা এখনো স্পষ্ট নয়।
আবার কারও টাকা যদি হারিয়ে গিয়ে থাকে তাতে থানা বা ওই এলাকায় সে ব্যাপারেও কেউ যোগাযোগ করেননি বলে জানা গেছে। তবে যাই হোক এই লক ডাউনের মাঝে হঠাৎ এই টাকা ছাড়ানোর ঘটনা এক শ্রেনীর মানুষের কাছে যেমন চরম উৎসাহের আবার এই ঘটনায় রীতিমত তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ শহর জুড়ে। এদিন স্থানীয় একটি বাড়ির সিসি ক্যামেরায় সে চিত্র ধরা পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দায়ের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্ক সামাল দিতে টাকা কুড়িয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।