লকডাউনের জেরে বন্ধ দোকান, দুঃস্থদের সেবায় দিন কাটছে রামপুরহাটের যুবকের

  • লকডাউনের জেরে লাঠে উঠেছে ব্যবসা
  • বাড়িতে হাঁড়ি চড়বে কি করে, সে চিন্তা নেই
  • দুঃস্থদের পাশে দাড়িয়েছেন যুবক
  • রামপুরহাটের ঘটনা

Asianet News Bangla | Published : May 12, 2020 10:33 AM IST / Updated: May 12 2020, 04:06 PM IST

লকডাউনের জেরে ব্যবসা লাঠে উঠেছে। দেড় মাস হয়ে গেল, জুতোর দোকান বন্ধ। এসবের মাঝেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন এক যুবক। দুঃস্থদের খাওয়ার-দাওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন, কাপড় দিয়েছেন বিধবাদেরও। 

আরও পড়ুন: করোনা রুখতে হাতিয়ার হোমিওপ্যাথি, বিনামূল্যে ওষুধ মিলছে মেদিনীপুরে

বীরভূমের রামপুরহাট শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে থাকেন সাহাজাদা হোসেন। মা, ভাই, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার। শহরের পাঁচমাথার মোড়ে ফুটপাতের ধারে জুতো বিক্রি করেন সাহাজাদা। দিনমজুরের কাজ করেন তাঁর ভাই। লকডাউনের জেরে আপাতত দু'জনেই কর্মহীন। নিজের বাড়িতে হাঁড়ি চড়বে কি করে, সে চিন্তা নেই।  কখনও লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজ পৌঁছে দিচ্ছেন তো, তো কখনও অভুক্তদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করছেন। লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই দুঃস্থ মানুষের সেবায় নিজেকে সঁপে দিয়েছেন সাহাজাদা ওরফে কিনু।  

আরও পড়ুন: 'উর্দিবাজার যোগ'-এ ছড়াচ্ছে সংক্রমণ, চুঁচুড়ায় করোনায় আক্রান্ত মাঝ বয়সী ব্যক্তি

আরও পড়ুন: দিঘায় করোনা আতঙ্ক, পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ স্থানীয়দের

সোমবার সকালে নিজের এলাকার সবজি বাজারে দুঃস্থ ও বিধবা মহিলাদের কাপড় বিলি করলেন ওই যুবক। তিনি বলেন,  'ফুটপাতে বসে সামান্য যে আয় করেছিলাম তাতে চাল-আলু সেদ্ধ খেয়ে দিন চলে যাচ্ছে। কিন্তু এমন অনেক মানুষের আছেন, যাঁদের বাড়িতে উনুন জ্বালানোরও সামর্থ্য নেই। তাই বাড়ি চিন্তা ছেড়ে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি সাধ্যমতো।' এই কাজের কৃতিত্ব অবশ্য একা নিতে চান না সাহাজাদা। বললেন, 'বহু ব্যবসায়ী কাপড় দিয়েছে। চাল-ডাল-আলু দিয়েও সাহায্য করেছেন অনেকেই। কয়েকজন শিক্ষক  নগদ টাকাও দিয়েছেন। সকলের চেষ্টাতেই এগিয়ে চলেছি আমরা।' 

Share this article
click me!