বিডিও-র সঙ্গে দেখা করতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। হুগলি জেলার ধনেখালি বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছে, এই অভিযোগ নিয়ে বিডিও-র সঙ্গে দেখা করতে আসেন লকেট। সেখানেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিডিও অফিসের মধ্যে ঢুকতেই সেখানে ঢুকে পড়েন তৃণমূল সমর্থকরা বলে অভিযোগ। চলে জয় বাংলা ও লকেট চট্টোপাধ্যায় দূর হটো স্লোগান। এমনকি বিডিও অফিসের বাইরে চলে বোমাবাজিও। বেশ কিছুক্ষন বিডিও অফিসে আটকে থাকেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা।
সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বেরিয়ে যেতে অনুরোধ করেন বিডিও। তিনি বলেন সবাইকে ওই অফিসের মধ্যে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। এর পরে হুগলি জেলা শাসক দীপা প্রিয়াকে ফোন করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। গোটা পরিস্থিতির কথা জানান।
জেলাশাসককে লকেট জানান, বিডিও অফিসের বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান চলছে, বোমাবাজি হচ্ছে। এই অবস্থায় পুলিশ না পাঠালে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। পরে পুলিশ র্যাফ গার্ড দিয়ে বিডিও অফিস থেকে বের করে নিয়ে যায় বিজেপি নেতৃত্বকে।
লকেট চট্টোপাধ্যায় এদিন অভিযোগ করেন, তৃণমূল জিতেছে বলে জোর জুলুম করছে, বাড়ি ভাঙচুর করছে। রাজনীতি পরে দেখা যাবে। বিজেপি কর্মীদের মা বোনেদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করতে হবে। ধনেখালি বিডিও অফিসের বাইরে বোমাবাজি হচ্ছে। যদি সাংসদই সুরক্ষা না পান, তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
শুক্রবার ধনেখালির বিডিওকে লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, বিজেপি কর্মীদের সুরক্ষায় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিন হাজার মানুষ ঘর ছাড়া রয়েছে বলে দাবি হুগলির সাংসদের। সেক্ষেত্রে তাঁদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার দায় প্রশাসন এড়িয়ে যেতে পারে না বলেও দাবি তোলেন লকেট।
এবিষয়ে ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন শান্ত জায়গাকে অশান্ত করতে এসেছেন লকেট। বিভিন্ন জায়গায় তিনি উস্কানিমূলক কথা বলছেন বলে দাবি অসীমা পাত্রের। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনে অভিযোগ জানানো হবে বলে দাবি করেছেন অসীমা পাত্র।