মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখার মানত, বুকে গড়িয়ে মাজারে প্রার্থনা তৃণমূল কর্মীর

  • তৃতীয় বারের জন্য যেন ক্ষমতায় আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
  • সেই আশায় মানত করেছিলেন তৃণমূল কর্মী
  • স্বপ্ন সফল হওয়ায় মানত পূরণ করলেন
  • তিন কিলোমিটার রাস্তা বুকে হেঁটে পীরবাবার মাজারে চাদর চড়ালেন 

debojyoti AN | Published : May 7, 2021 10:52 AM IST

তৃতীয় বারের জন্য যেন ক্ষমতায় আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আশায় মানত করেছিলেন তিনি। সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে। এবার মানত পূরণের পালা। মানত পূরণ করতে তিন কিলোমিটার রাস্তা গড়িয়ে গড়িয়ে গিয়ে পীরবাবার মাজারে চাদর চড়ালেন এক তৃণমূল কর্মী। 

হুগলির গোঘাটের ঘটনা। শুক্রবার দুপুরবেলা গোঘাট থানার ভাদুর অঞ্চলে এই দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে যান পথচারীরা। ওই তৃণমূল কর্মী কামনা করেছিলেন প্রিয় " দিদি"  আবার যেন ক্ষমতায় আসেন। পীরবাবার কাছে মানতও করেছিলেন যে যেদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের মতো বাংলার মসনদে বসবেন সেদিন তিনি তাঁর বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত প্রসিদ্ধ পীরবাবা মকদুম সাহেবের মাজারে গিয়ে চাদর চড়িয়ে দিদির জন্য দোয়া চাইবেন।

৫ই মে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদি বাংলার সিংহাসনে বসতেই এদিন গোঘাট বিরামপুরের একনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী শেখ গুলাম মুস্তাফা তাঁর মানত পালন করলেন। গোঘাটে তাঁর দল জেতেনি তাতে কি হয়েছে রাজ্যে তো তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। তাতেই খুশি তিনি। পেশায় শ্রমিক গুলাম তাঁর কথা রেখেছেন। তাঁকে উৎসাহ দিতে প্রায় শ দেড়েক তৃণমূল কর্মী তাঁর সঙ্গী হন। 

রীতিমতো বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে স্লোগান দিতে দিতে তিন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন তাঁরা। গুলাম জানান, সব ধর্ম মিলে আমরা এখানে বসবাস করি।আমাদের এখানে হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ নেই। সবার ওপর মানুষ। আমরা সবাই শান্তিতে থাকতে চাই। তাই আমি সবার হয়ে পীরবাবার কাছে মানত রেখেছিলাম মোদী সরকার নয়, আমরা আমাদের মমতা দিদিকেই তৃতীয় বারের জন্য চাই। আমাদের ইচ্ছে পূর্ণ হয়েছে তাই আমি আমার কথা রেখেছি। পীরের দরবারে চাদর চড়িয়েছি। সবার মঙ্গল কামনায় দোয়াও চেয়েছি।

ক্ষমতায় এসে শপথ নিয়েই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন ছিল রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল যেন শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখে। নির্বাচন পূর্বে ও নির্বাচন চলাকালীন অনেক অত্যাচার হয়েছে। সেসব বন্ধ করতে হবে। নয়তো আইন আইনের পথে চলবে। মমতা বলেন, বাংলা শান্তিপ্রিয় জায়গা, সংহতি,সম্প্রীতি ও সংস্কৃতির জায়গা। সর্ব ধর্ম বর্ণের মানুষ যেন এখানে শান্তিতে থাকতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তারজন্য প্রত্যেককে উদ্যোগী হতে হবে। 

Share this article
click me!