সকালবেলাই টুইট করে দেশের সুপার ইমার্জেন্সি চলছে বলে নাম না করেই নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিনই মমতার বিরুদ্ধেই রাজ্যে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চালানোর পাল্টা অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এ দিন বাঁকুড়ায় গুলিবিদ্ধ দুই বিজেপি সমর্থক এবং এক স্কুল ছাত্রকে দেখতে গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা।
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে আহতদের দেখে বেরিয়ে মুকুল বলেন, 'আজকে সেই কুখ্যাত ২৫ জুন, যেদিন ১৯৭৫ সালে ভারতবর্ষে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। সেটা ছিল ঘোষিত জরুরি অবস্থা, আর আজকে বাংলায় অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে।'
আরও পড়ুন- দেশে সুপার ইমার্জেন্সি চলছে, নাম না করে মোদীকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ মমতার
গত শনিবার বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ সেই সময়ে পুলিশের গুলিতে এক স্কুল ছাত্র-সহ তিনজন আহত হন। সেই আহতদের দেখতে এবং তাঁদের পরিবের সঙ্গে কথা বলতেই এ দিন বাঁকুড়ায় যান বিজেপি নেতা। গুলি চালানোর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে মুকুল বলেন, 'জয় শ্রীরাম বলে গুলি যদি গুলি খেতে হয় তার থেকে দুর্ভাগ্যের কিছু হয় না। পুলিশ বলছে গুলি চালায়নি, তাহলে গুলি চালাচ্ছে কে? কেউ খুন হলে সরকার বলছে কেউ খুন হয়নি, কেউ গুলি খেলে বলছে পুলিশ গুলি চালায়নি। তাহলে গুলি চালাচ্ছে কে, খুন করছে কে? এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক এবং প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত হোক।'
মমতাকে আক্রমণ করে মুকুল অভিযোগ করেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাংলার জনাদেশকে উনি মানতে পারছেন না। বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরা এই সরকারের বিপক্ষে। সেই কারণেই পুলিশ দিয়ে শক্তি প্রদর্শন করে দখলের রাজনীতি করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।' প্রসঙ্গত এ বার বাঁকুড়ার দু'টি লোকসভা আসনেই জিতেছে বিজেপি।
মুকুল রায় এ দিনও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তৃণমূল থেকে বিধায়ক-সহ নেতাদের বিজেপি-তে যোগদান চলবেই। তবে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে তিনি বলেন যে, 'যোগদানও থাকবে, ছাকনিও থাকবে।'