আবারও ২০২১ এর আগে রাজ্য সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সোমবার কালচিনির বিধায়ক উইলসন চম্পামারি তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেন। একই সঙ্গে তৃণমূলের হাতে সোমবারই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। এর পরেই তৃণমূলের উদ্দেশে হুংকার ছেড়েছেন মুকুল।
আরও পড়ুন- মমতার ধাক্কা, বিজেপি-তে বিধায়ক চম্প্রামারি ও দিনাজপুরের বিপ্লব
সোমবার দিল্লিতে মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপস্থিতিতেই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, 'আমি আগেই বলেছিলাম যে সাত দফায় যোগদান হবে। এ দিনও যে যোগদান হল, সেটা প্রথম পর্যায়ের মধ্যেই পড়ছে।' বিজয়বর্গীয়র কথার সূত্র ধরেই মুকুল এর পর বলেন, 'যে দিন সপ্তম দফার যোগদান হবে, সেদিন আর তৃণমূল কংগ্রেস সরকার রাজ্যে থাকবে না।' মুকুলের সাফ ইঙ্গিত, সরকার চালানোর মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক তৃণমূলের হাতে থাকবে না। যতদিন না তৃণমূল সরকার পড়ে যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত যোগদান পর্ব চলবে বলেও জানিয়ে দেন মুকুল। প্রসঙ্গত বাংলায় এবার সাত দফায় নির্বাচন হয়েছিল, সেই সূত্রেই সাত দফায় যোগদানের কথা বলে তৃণমূলের উপরে চাপ বাড়াচ্ছেন বিজেপি নেতারা।
একই সঙ্গে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, 'এ তো শুধুমাত্র ট্রেলার। এর পরে কী হয় শুধু দেখতে থাকুন।' কয়েকদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং। সেই তালিকায় এবার যোগ দিল উইলসন চম্পামারির নাম।
দলবদল নিয়ে অবশ্য এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনও উদ্বেগ দেখাননি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টে তিনি বলেছেন, যাঁরা বিজেপি-তে যেতে চান, তাঁরা যেন এখনই চলে যান। দুর্নীতিগ্রস্তরাই বিজেপি-তে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা। যাঁরা দুর্নীতি করে দলবদল করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।