এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। অনেক খোঁজার পরও তাঁকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী সুপ্রীতি দাস তুফানগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুরভোটের আবহে তপ্ত বাংলার মাটি। এদিকে সকাল থেকে গোটা রাজ্য থেকে বারেবারেই ভেসে আসছে অশান্তির ছবি। এমতাবস্থায় এবার তুফানগঞ্জ পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী প্রসেনজিৎ বসাককে অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রবিবার সকালে ভোটের দিন ভোর বেলায় তাকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুফানগঞ্জ ১১ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী প্রসেনজিৎ বসাকের। এদিকে অনেক খোঁজার পরও তাঁকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী সুপ্রীতি দাস তুফানগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই সুপ্রীতি দাস জানান, এদিন সকাল ৬টা নাগাদ তাঁর স্বামী বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ তাঁর সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ হয়। তারপর অপহরণের খবর আসে। যদিও কিছু সময় পরেই ফিরে আসেন প্রসেনজিৎ।
অপহরণ করার পর তুফানগঞ্জে ফিরে এসে থানার সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে জানান কিভাবে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। এমনকী এই ঘটনার প্রতিবাদে তিনি ১১ নাম্বার ওয়ার্ড থেকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারও করেছেন। অন্যদিকে তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতি রাভা রায়ের অভিযোগ, নিজের বিধানসভা এলাকার মধ্যে তুফানগঞ্জ পুরসভা হলেও তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না শহরে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস শহর ব্লক সভাপতির বাড়িতে বহিরাগতরা আশ্রয় নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ ঘিরেও তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। যদিও শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শিবপদ পাল বলেন, “তুফানগঞ্জে সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। বিজেপির আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।” তবে ঘটনা প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ বসাক সাফ বলেন, “সকালে ভোটকেন্দ্রে ঢোকার আগেই আমাকে অপহরণ করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।”
এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায় বলেন, "বিজেপি প্রার্থী প্রসেনজিৎ বসাককে তৃণমূলীরা অপহরণ করেছে। বুথে বিরোধী পোলিং এজেন্ট নেই। তুফানগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে।" যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবেই অস্বীকার করেছে তৃণমূল। শুধু তুফানগঞ্জ নয় এদিন দিনভর উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্ত থেকেই বিক্ষিপ্ত উত্তেজনার খবর আসতে থাকেয জলপাইগুড়ির ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হাইস্কুলের ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং বিজেপির প্রার্থীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিসের বিরুদ্ধে। বিরোধী প্রার্থীদের অভিযোগ, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিতরে বহিরাগতরা ঢুকেছে। যা নিয়েও ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে গোটা জেলাজুড়েই। অন্যদিকে কোচবিহারের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের এজেন্টের পরিচয় দিয়ে বহিরাগতের তাণ্ডব। নিজেকে এজেন্ট বলে পরিচয় দিয়ে বিজেপি এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ।