ছটপুজোয় কলকাতায় অশান্তি, রায়গঞ্জে পরিবেশ রক্ষায় অভিনব উদ্যোগ পুরসভার

 

  • কেটে নয়, শিকড়-সমেত কলাগাছ লাগান নদীর পাড়ে
  • ছটপুজোর উদ্যোক্তাদের কাছে এমনই আবেদন জানাল রায়গঞ্জ পুরসভা
  • ছটপুজোর সময়ে কলা গাছ কেটে নদীর পাড়ে মণ্ডপ তৈরি করা হয়
  • পুজো পর কলাগাছগুলি নষ্ট হয়ে যায়

Asianet News Bangla | Published : Nov 2, 2019 10:08 AM IST

স্রেফ ঘাটগুলিকে সাজিয়ে তোলা কিংবা পরিকাঠামো তৈরি করাই নয়. ছটপুজোয় পরিবেশ রক্ষা ও নদী ভাঙন রুখতে এক অভিনব উদ্যোগ নিল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ পুরসভা। পূর্ণ্যার্থীদের কাছে পুরসভার তরফে আবেদন জানানো হয়েছে, কেটে নয়, শিকড়-সমেত কলাগাছ লাগান নদীর পাড়ে।  যাঁরা ছটপুজো করেন, তাঁদের সচেতন করতে রীতিমতো মাইকিং করে চলছে প্রচার।

বিহারে সবচেয়ে বড় উৎসব ছটপুজো।  এ রাজ্যে কিন্তু বিহারীদের সংখ্যা কম নয়। প্রবাসে ছটপুজোয় মেতে ওঠেন হিন্দিভাষী মানুষেরা।  রীতি মেনে  রাজ্যের সর্বত্রই নদীর পাড়ে কিংবা জলাশয়ের ধারে হয় পুজো।  ব্যতিক্রম নয় উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরও।  প্রতিবছরই কুলিক নদীর ধারে শ্মশান ঘাট ও খুরমুজা ঘাটে কলাগাছ দিয়ে ছটপুজোর শয়ে শয়ে মণ্ডপ সাজান পূর্ণ্যার্থীরা।  তবে শিকড়-সহ আস্ত গাছ নয়, কলাগাছ কেটে এই মণ্ডপ তৈরি করা হয়। ছটপুজো পরে নদীর পাড়ে রোদ পুড়ে কিংবা  জলে ভিজে সেই কলাগাছগুলি নষ্ট হয়ে যায়। তাতে সবুজ যেমন ধ্বংস হয়, তেমনি নদীতে দূষণ ছড়িয়ে পড়ে।  এবার ছটপুজোর মণ্ডপ তৈরির পদ্ধতিতে বদল আনতে উদ্যোগ নিয়েছে রায়গঞ্জ পুরসভা।  রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস জানিয়েছে, এ বছর কুলিক নদীর ধারে শিকড়-সহ কলাগাছ লাগিয়ে মণ্ডপ তৈরি করার জন্য ছটপুজো কমিটি কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।  এরফলে ছটপুজোর পরে কলাগাছগুলি নদীর পাড়ে বেড়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, শিকড়-সহ কলাগাছগুলিকে নদীর পাড় থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অন্যত্রও লাগানো যাবে। তাতে যেমন শহরে সবুজায়ন হবে, তেমনি নদী দুষণ ও ভাঙনও রোধ করা যাবে। 

উল্লেখ্য, পরিবেশ দূষণ রুখতে এবার কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর লেকে ছটপুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। শনিবার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লেকে পুজো করতে গিয়েছিলেন পূর্ণ্যার্থীরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি হয়।  লেকের একটি গেটের তালা ভেঙে দেন বহিরাগতরা। ছিঁড়ে ফেলা হয় পুরসভার নোটিশ, হোর্ডিংও। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  

Share this article
click me!