স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে আটকাতে নিজের জীবন পর্যন্ত দিয়ে দিলেন মুর্শিদাবাদের এক গৃহবধূ। স্বামীর বিয়ে আটকে প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায় পাড়িও দিয়েছিলেন। সেখান থেকে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফেরার কথা জানিয়েছিলেন মাকে। কিন্তু তারপর বাড়ি ফিরল নিহত গৃহবধূ চুমকির ক্ষতবিক্ষত নিথর দেহ। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ নিগতের পরিবারের। তবে চুমকিকে কে বা কেন খুন করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।
মুর্শিদাবাদের সুকির এলাকায় বাসিন্দা ছিলেন ২১ বছরের চুমকি বিবি। এদিন বাড়িতে তাঁর মৃতদেহ এসে পৌঁছলে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বারিপদ এলাকায় চুমকির দেহ উদ্ধার হয় বলেই এদিন তার পরিবারের কাছে খবর এসে পৌঁছায়। মৃত্যুর খবর যুবতীর বাড়িতে পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কয়েক আগে চুমকি ভালবেসে জঙ্গীপুর মহকুমার অন্তর্গত কড়েয়ার বাসিন্দা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক সম্রাট শেখকে বিয়ে করেন। অভিযোগ, বিয়ের পরে থেকেই যৌতুক ও নগদ টাকার দাবিতে সম্রাট শেখ ও তার পরিবারের লোকেরা চুমকির উপর অত্যাচার করত। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই যুবতী মাস ছয়েক আগে বাপের বাড়ি সুকি এলাকায় চলে আসে চলে আসেন।
তার স্বামী সম্রাট ওড়িশায় আত্মগোপন করে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করতে চলেছে। এই খবর শোনার পরেই চুমকি তার ভালোবাসার বিয়ে কে বাঁচাতে ওড়িশায় তাঁর স্বামীর কাছে যান। সেখানে পৌঁছে চুমকি তার মাকে জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই স্বামীর সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ফিরছেন তারা। কিন্তু তার পরে থেকেই আচমকা মোবাইল বন্ধ হয়ে যায় চুমকির। বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। এদিন ওড়িশা থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারের খবর এসে পৌঁছয় মুর্শিদাবাদের বাড়িতে। চুমকির পরিবারের দাবি, সম্রাটই আবার বিয়ে করার জন্য চুমকিকে খুন করেছে। তার কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। যদিও সম্রাটের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ করা যায়নি।