এদিন সকালে নিউটাউনের রামকৃষ্ণ মিশনের রাঁধুনিকে ডাকাডাকি করার পরেও সাড়া না পেয়ে তার ঘরের দরজা ভাঙলে দেখা যায় সিলিং থেকে ঝুলছে তাঁর মৃতদেহ। এই খবর চাউর হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়।
নিউটাউনের নতুন পুকুর এলাকায় (Newtown's Notun Pukur area) রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramkrishna Mission ) শুক্রবার সকালে এক রাঁধুনির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতের নাম রোহিত হালদার। তিনি সোনারপুরের (Sonarpur) বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, এদিন সকালে রামকৃষ্ণ মিশনের রাঁধুনিকে ডাকাডাকি করার পরেও সাড়া না পেয়ে তার ঘরের দরজা ভাঙলে দেখা যায় সিলিং থেকে ঝুলছে তাঁর মৃতদেহ। এই খবর চাউর হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ আশ্রমের মহারাজের অত্যাচারের জেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে রোহিত। তাদের অভিযোগ, আশ্রমের মহারাজ ও তাঁর সহকর্মীরা মিলেই আত্মহত্যায় দীর্ঘদিন ধরে প্ররোচনা দিয়েছে ওই রাঁধুনিকে।
এদিকে এদিন রোহিতের মৃতদেহ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকী আশ্রমের মহারাজকে ঘিরে ধরে এলাকার বাসিন্দারা প্রথমে বিক্ষোভ দেখাতেও শুরু করেন। পরে ঘরে থেকে তাকে টেনে বের করে মারধরও করা হয়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে টেকনো সিটি থানার পুলিশ। সেইসময় পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। এমনকী পুলিশের সামানেই মহারাজে একপ্রস্থ মারধর করা হয়। ছাড়াতে গেলে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের ধস্তাধস্তিও শুরু হয়ে যায়। ধীরে ধীরে হাতের বাইরে যেতে থাকে পরিস্থিতি। এদিকে উত্তেজনা দমাতে অবশেষে লাঠিচার্জে বাধ্য হয় পুলিশ। এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এই আশ্রমের স্বামী হরিময়ানন্দ মহারাজ বলেন, “২০ তারিখে কিছু টাকা আমাদের এখান থেকে মিসিং হয়েছিল। ওই টাকা মিসিং হওয়ার পরে আমরা দুটো ছেলেকে সন্দেহ করেছিলাম। তাদের সঙ্গে কথাও বলা হয়েছিল এরপর ওদেরকে যাঁরা পাঠিয়েছিল তাদের কেউ আমরা জানিয়েছিলাম। তারা এসে তদন্ত করে। কিন্তু তারপরেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। এদিকে ঘটনা নিয়ে ওদের সঙ্গে কথা চলতে থাকে। কিন্ত এরপর এদিন সকালে আচমকা এই ঘটনা আমরা দেখতে পাই।”
আরও পড়ুন-বেলুড় মঠে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ১২৫তম বর্ষ উপলক্ষ্য়ে
আরও পড়ুন-‘আমাদের পেটে লাথি মারলে সরকারের ঠাঁই হবে রাস্তায়’, বিহারে হুঙ্কার ছাত্রদের
এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “মহারাজরা বলছেন গলায় দড়ি দিয়ে মারা গিয়েছে। কিন্তু ওরাই পিটিয়ে মেরেছে নাকি কি করে মরেছে কেউ জানতে পারল না। আমরা মহারাজকে গ্রামে থাকার জায়গা দিয়েছিলাম। গ্রামের উন্নতি করবেন উনি। আমরা একটি কমিটি করেছিলাম একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের জন্য। কিন্তু কোনও সমস্যা বা কোনও বিষয়েই কমিটির সাথে কোনও আলোচনা করা হয় না। আজ আচমকা এই ঘটনা ঘটে গেল।”
আরও পড়ুন-৪টি আগ্নেয়াস্ত্র প্রচুর সোনাদানা সহ আরামবাগ পুলিশের জালে বড় ডাকাত দল, আটক ১৪