লকডাউনের জের, কাজ হারিয়ে ৯৩ বছরের বৃদ্ধা মা ও পরিবার নিয়ে চরম আর্থিক সঙ্কটে নবদ্বীপের পুরোহিত

  • করোনা মোকাবিলায় বন্ধ রাজ্য়ের দোকানপাটের পাশাপাশি মন্দিরও 
  • তাই লকডাউনে হারিয়েছেন নবদ্বীপের পুরোহিত গণেশ গোস্বামী   
  • গণেশবাবুর বাড়িতে ৯৩ বছরের বৃদ্ধা মা, অবিবাহিত তিন বোন, পাঁচ ভাই 
  •  পরিবার নিয়ে চরম আর্থিক সঙ্কটে নবদ্বীপের পুরোহিত গণেশ গোস্বামী 

Ritam Talukder | Published : Apr 27, 2020 8:51 AM IST / Updated: Apr 27 2020, 03:30 PM IST

করোনা রুখতে দীর্ঘ লকডাউনের কোপে ইতিমধ্য়েই অনেকেই রোজগার হারিয়েছেন।  আর এই করোনা মোকাবিলায় বন্ধ রাজ্য়ের দোকানপাটের পাশাপাশি মন্দিরও।  যার জেরে চরম সমস্য়ার সম্মুখীন হয়েছেন  নবদ্বীপের ৬২ বছরের অবিবাহিত গণেশ গোস্বামী। কারন তাঁকে যে সারাবছরই পৌরহিত্য করে সংসার চালাতে হয়। আর এই মুহূর্তে তাই  পরিবার নিয়ে চরম আর্থিক সঙ্কটে নবদ্বীপের পুরোহিত গণেশ গোস্বামী। 

আরও পড়ুন, করোনা সঙ্কটে সাহায্য চেয়ে ফোন ১০০ ডায়ালেই, জানাল লালবাজার


সারা বছরই গৃহস্থের বাড়ি,মন্দির আর নতুন বছরের পয়লা বৈশাখ আর অক্ষয় তৃতীয়ায় দোকানে দোকানে পুজো করে সারা বছর চলে যায় কোন রকমে সংসার। চরম দারিদ্র নিত্য সঙ্গী নদিয়ার নবদ্বীপের ৬২ বছরের অবিবাহিত গণেশ গোস্বামীর। গণেশবাবুর বাড়িতে ৯৩ বছরের বৃদ্ধা মা, অবিবাহিত তিন বোন, পাঁচ ভাই। একভাই টোটো চালান, আর একজন অন্যের দোকানে কাজ করেন। টাকা পয়সার অভাবে বোনেদের বিয়ে দিয়ে উঠতে পারেননি গনেশবাবু। নবদ্বীপ ওলাদেবীতলা বাজারের কাছে ভাঙাচোরা টিনের পৈত্রিক বাড়িতে বৃদ্ধা মা এবং ভাইবোন সবাইকে নিয়ে একই সঙ্গে বসবাস করেন। বিগত বছর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে দোকানে,দোকানে গিয়ে ২০টি গণেশ পুজো করেছিলেন। এবার মাত্র হাতে গোনা দুটি পুজো করেই ক্ষান্ত থাকতে হয়েছে। সেই বছরে অক্ষয় তৃতীয়ায় দিন ১৫টির মত পুজো করতে হয়েছিল তাঁকে। 

আরও পড়ুন, লকডাউনের জের, উচ্চ মাধ্যমিকের স্থগিত হওয়া বাকি পরীক্ষা ও খাতা দেখা শুরু হবে জুনে

 

এবার লকডাউনের ফলে দোকানপাট বন্ধ। অধিকাংশ মানুষই আজ ঘরবন্দি। সে কারনে এবছর কিন্তু একটিও পুজো করার ডাক পান নি তিনি। প্রতি মুহূর্ত অভাব তাড়া করে বেড়ায় গোস্বামী পরিবারকে। বৃদ্ধা মা কানে শুনতে পান না,শারীরিক ভাবে অসুস্থ তিনি। মায়ের ঔষুধ, বোনেদের যাবতীয় খরচ, বাজারহাট সবই চলে পূজার্চ্চনার ওপর। অন্যান্য বছর এই  বিশেষ দুটি দিনে দোকানে দোকানে পুজো করে ভালই উপার্জন হয়েছিল। বছর ভর সংসার চালাতে তেমন অসুবিধায় পড়তে হয় নি। এ বছর লকডাউনে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ। দোকানে দোকানে পুজো হয় নি। তাই তেমন কোন উপার্জন হয় নি। যেসব মন্দির এবং বাড়িতে প্রতিদিন নিয়ম করে নিত্য পুজো করে থাকেন। যা উপার্জন হয় তাই দিয়ে কোন ক্রমে চলছে সংসার। এমনিতেই দারিদ্র নিত্যসঙ্গী তার মধ্যে লকডাউন। এই দুই জাতাকলে পড়ে গোস্বামী পরিবারের সদস্যদের প্রাণ ওষ্টাগত। কীভাবে সংসার চলবে কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না গনেশবাবু। 

 

 

 

চিন থেকে সোজা কলকাতা বিমানবন্দরে, ১০ টন করোনা-চিকিৎসার সামগ্রী নিয়ে শহরে নামল উড়ান

স্ক্রিন ছুঁয়েই প্রিয় জনের অনুভূতি, করোনা রুখতে শহরের হাসপাতালে চালু 'ভারচুয়াল ভিজিটিং আওয়ার্স'

বাবুলের কথা এবার চিকিৎসক সংগঠনের মুখে,করোনায় মৃত্যু স্বাস্থ্য়কর্তার -স্বীকার করুক রাজ্য

১৮ থেকে বাংলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০, করোনায় আক্রান্ত ৪৬১

 এবার বেসরকারিতেও করোনা চিকিৎসায় মিলবে বিনামূল্য়ের পরিষেবা, হাসপাতালের খরচও দেবে রাজ্য সরকার

Share this article
click me!