নবান্ন অভিযানের আগেই পিটিএস থেকে আটক শুভেন্দু-সহ তিন বিজেপি নেতা, হাইকোর্টে যাওয়ার হুমকি বিজেপির

সাঁতগাছি যাওযার আগে পিটিএসে রাজ্য পুলিশ আটকে দিল বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী , বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহাকে। যানি বিজেপির দুই নেতৃত্ব তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিজেপির নবান্ন অভিযানে  শান্তি শৃঙ্খলা বাজায় রাখতে রীতিমত কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ। 

Saborni Mitra | Published : Sep 13, 2022 7:32 AM IST / Updated: Sep 13 2022, 01:31 PM IST

সাঁতগাছি যেতেই পারলেন না শুভেন্দু অধিকারী। পিটিএসএ  রাজ্য পুলিশ আটকে দিল বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী , বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহাকে। যানি বিজেপির দুই নেতৃত্ব তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিজেপির নবান্ন অভিযানে  শান্তি শৃঙ্খলা বাজায় রাখতে রীতিমত কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ। এই অবস্থায় নবান্নগামী সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাতেই আটকে দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী ও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। 

শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই ছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের আটকে দেওয়ার পরে তাঁরা দুজনেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়়িয়ে পড়েন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, একজন সাংসদকে কখনই রাস্তায় আটকে দিতে পারে না পুলিশ। তাঁরা পুলিশের কাছে তাঁদের মোটরসাইকেল  করে সাঁতরাগাছি স্টেশনে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তাঁরা জানিয়েছেন তাঁরা সাঁতরাগাছি থেকেই ট্রেনে করে হাওড়া যাবেন। কিন্তু তাতেই রাজি হয়নি মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। এপরই শুভেন্দু অধিকারী আদালতে যাওরা কথা বলেন। তিনি বলেন আইনত কোনও সাংসদকে রাস্তায় এভাবে আটকে দিতে পারে না পুলিশ। 

অন্যদিকে দীর্ঘ বচসার পরে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোরপাধ্যায়ের নাম করে হায় হায় স্লোগান। তিনি তারপরই বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ভয় পেয়েছেন। তারপরই শুভেন্দু অধিকারী ও লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহাকে আটক করা পুলিশ। যদিও শুভেন্দু পুলিশকে  মিডিয়ার সামনেই বলতে বাধ্য করেন যে তাঁকে আটক করা হয়। তিন নেতাকেই প্রিজন ভ্য়ানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রের খবর শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাারে। আটক করা হয়েছে লকেট ও রাহুল সিনহাকেও। 

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী আগেই সংবাদ সংস্থা এনএনআইকে জানিয়েছেন, যে কোনও মোর্চার নিয়মই হল প্রথমে একটি ব্যারিকেড তোলা হবে। তারপর দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙা হবে সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে। তারপরই শেষ হয়ে যাবে বিক্ষোভ। কিন্তু এখানে পুলিশ যে আচরণ করছে তা শোভনীয় নয়। তিনি বলেন উত্তর কোরিয়ার মতই বাংলার প্রশাসন হয়ে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানুষ নেই তাই এই আচরণ করছে পুলিশ। তাই যেসব পুলিশ কর্মী এজাতীয় আচরণ করছে তাদেরও দেখে নেওয়া হবে। 

Read more Articles on
Share this article
click me!