National Level Shooter Dies: মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা, বালিতে উদ্ধার শ্যুটারের ঝুলন্ত দেহ

ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বাসিন্দা ছিলেন কণিকা লায়েক। ২০২০ সালের জানুযায়ি মাসে ঝাড়খণ্ডে রাজ্যস্তরের শ্যুটিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। জিতেছিলেন সোনা ও রূপার পদক। 

Web Desk - ANB | Published : Dec 16, 2021 1:09 PM IST / Updated: Dec 16 2021, 07:48 PM IST

উদ্ধার করা হল জাতীয়স্তরের (National Level Shooter) শ্যুটার কণিকা লায়েকের (Konica Layak) ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body)। বালির (Bally) বীরেশ্বর চ্যাটার্জি স্ট্রিটের মুক্তি লেডিস হোস্টেল (Ladies Hostel) থেকে বুধবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ (Howrah)। সেখানেই পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন ২৮ বছরের কণিকা। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।  

ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ধানবাদের বাসিন্দা ছিলেন কণিকা লায়েক। ২০২০ সালের জানুযায়ি মাসে ঝাড়খণ্ডে রাজ্যস্তরের শ্যুটিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। জিতেছিলেন সোনা ও রূপার পদক। এরপর চলতি বছরের ১৯ জুলাই বালির ওই হোস্টেলে থাকা শুরু করেছিলেন তিনি। বাংলার প্রখ্যাত শ্যুটার জয়দীপ কর্মকারের (Joydeep Karmakar) অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্যই কলকাতায় এসেছিলেন কণিকা। সেখানেই এয়ার রাইফেল শ্যুটিংয়ের অনুশীলন নিতে যেতেন। কিন্তু, গত কয়েকদিন ধরেই অনুশীলনে ভালো ফল করতে পারছিলেন না তিনি। ক্রমে হতাশা গ্রাস করেছিল তাঁকে। প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ার পরই তিনি আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। পুলিশের অনুমান, বড় কোনও প্রতিযোগিতার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন কণিকা। কিন্তু, তার জন্য সঠিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অবশ্য তা নিয়ে কারও কাছে কোনও কথা বলেননি। তারপরই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে কণিকার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল। সেই দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে খেলাধূলায় আশানুরূপ ফল না হওয়ার জেরে অবসাদে ভোগার কথা জানিয়েছে পুলিশ। সুইসাইড নোটে (Suicide Note) মা-বাবার স্বপ্ন ও আশাপূরণ না হওয়ার কথাই বার বার লিখেছিলেন কণিকা। 

কণিকার কলকাতায় আসার পর প্রথমে সবই ঠিক চলছিল। কিন্তু, অ্যাকাডেমিতে ভালো ফল নাকি তিনি করতে পারছিলেন না। বার বার ব্যর্থ হচ্ছিলেন। আর তার জেরেই তাঁকে গ্রাস করেছিল অবসাদ। অবসাদের জেরে বেশ কিছুদিন ধরে কণিকা অনুশীলনেও যাচ্ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। তবে সেই অবসাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে তিনি যে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নেবেন তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউই। ধানবাদের বাসিন্দা প্রতীম লায়েকের মেয়ে কনিকা। তাঁর চার বোনও রয়েছে। কণিকার এই মনের অবস্থা টের পায়নি তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। হোস্টেলের ঘর থেকে সুইসাইড নোটের পাশাপাশি কণিকার মোবাইলও উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। 

Share this article
click me!