জেলার একটি বড় অংশের ছাত্র স্কুল বন্ধ থাকার কারনে পরিযায়ী শ্রমিকে পরিনত হয়েছে। ওই পরিযায়ী ছাত্রদের ফের স্কুল মুখী করা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাথা ব্যাথার কারন হয়ে উঠেছে।
মুর্শিদাবাদ জুড়ে গ্রামের প্রান্তিক পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে এবার উদ্যোগ গ্রহন করতে এগিয়ে এল মুর্শিদাবাদ জুড়ে জেলার ইমাম মোয়াজ্জিনদের সংগঠন। সেইমতো সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব ব্লক স্তরের নেতাদের নিয়ে এক বৈঠকে মিলিত হয়ে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়ুয়াদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।
এই ব্যাপারে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমর কুমার শীল বলেন, “এই রকম উদ্যোগ অত্যন্ত কার্যকারী ভুমিকা পালন করে । ফলে যে বা যারাই এই উদ্যোগ গ্রহন করুন তা অভিনন্দন যোগ্য।” করোনা আবহে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারনে ছেলে মেয়েদের মধ্যে স্কুল যাওয়ার প্রবনতা কিছুটা হলেও কমেছে। অন্যদিকে জেলার একটি বড় অংশের ছাত্র স্কুল বন্ধ থাকার কারনে পরিযায়ী শ্রমিকে পরিনত হয়েছে। ওই পরিযায়ী ছাত্রদের ফের স্কুল মুখী করা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাথা ব্যাথার কারন হয়ে উঠেছে। এখন তারা বাড়ি ফিরলে কি ভাবে স্কুলে নিয়ে আসা যায় তা নিয়েই চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে জেলা শিক্ষা দপ্তর ও একাধিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এই ব্যাপারে ভগবানগোলা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক, বিরামপুর অভয়া সুন্দরী বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক শৈবাল সাহা বলেন , “ইতিমধ্যে যে সমস্ত পড়ুয়া কাজের সূত্রে বাইরে গিয়েছে আমরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারাও তাদের ছেলেদের ফিরিয়ে নিয়ে এসে বিদ্যালয়ে পাঠাতে প্রস্তুত। সেক্ষেত্রে এখন আমাদের অপেক্ষা করে দেখতে হবে শেষ পর্যন্ত ওই ইচ্ছেটা কতখানি কার্যকর হয়।” ইতিমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়েছে । এর মধ্যে কোনও কোনও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নবম ও দশম শ্রেনীর ক্লাস চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন, অবশ্য কোথাও কোথাও ওই দুটি শ্রেণীর ক্লাস বন্ধ থাকছে ।
এই সময়ে পড়ুয়া শ্রমিকদের ফিরিয়ে এনে স্কুলমুখী করা গেলে তা সমাজের পক্ষে মঙ্গল হবে বলে মন্তব্য করেন জেলা ইমাম মোয়াজ্জিন সংগঠনের জেলা সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক। পরে তিনি বলেন, “এই ব্যাপারে জেলার প্রতিটি ব্লক নেতৃত্বকে নিয়ে আমাদের বৈঠক হয়েছে । সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,সাধারন ছেলে মেয়েদের দ্রুত বিদ্যালয় মুখী করতে হবে, আর যারা বাইরে কাজ করতে গিয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসে ফের স্কুল পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।”