উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যেও অবশেষে মিলল স্বস্তি। গতকাল ওই শিশুর ফের করোনা পরীক্ষা করা হয়। আজ সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আশায় স্বস্তিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য মহল থেকে শুরু করে শিশুটির পরিবারও।
বুধবারই প্রথম রাজ্যের ওমিক্রণ আক্রন্ত রোগীর(Omicron infected patient) খোঁজ মেলে মালদহে। তারপরই এই মারন স্ট্রেনের সংক্রমণের ভয়ে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা রাজ্যেই। এদিকে অমিকরণ আক্রন্ত ওই ৭ বছরের শিশুর আসল বাড়ি আদপে মুর্শিদাবাদে(Murshidabad)।কিন্তু সে বর্তমানে মালদহে মামার বাড়িতে ছিল বলে জানা যায়। এদিকে গতকাল হায়দরাবাদ থেকে সংক্রমণের খবর পাওয়া মাত্রই তাকে আইসলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়। তবে এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যেও অবশেষে মিলল স্বস্তি। গতকাল ওই শিশুর ফের করোনা পরীক্ষা করা হয়। আজ সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আশায় স্বস্তিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য মহল থেকে শুরু করে শিশুটির পরিবারও।
এদিকে গতকাল শিশুর শরীরে ওমিক্রণ সংক্রমণের(Omicron infection) খবর স্বাস্থ্য দপ্তর এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই মালদা জেলা তথা গোটা রাজ্য জুড়ে তোলপাড় ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্ক ছড়ায় গোটা রাজ্য জুড়ে। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে তড়িঘড়ি সংক্রামিত শিশু ও তার পরিবারের লোকেদের মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(Malda Medical College hospital) নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাদের আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সংক্রামিত শিশু ও তার পরিবারের প্রত্যেকের দ্বিতীয়বার লালা সংগ্রহ করা হয়। এমতাবস্থায় বৃহঃস্পতিবার মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় ওই শিশুর লালা রিপোর্ট নেগেটিভ। পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাদেরকেও মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনেই লোনের ফাঁদ, সল্টলেকে টাকা খুইয়ে পথে বসলেন বহু মানুষ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিশুটির আসল বাড়ি মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা(Farakka of Murshidabad) থানার বেনিয়াগ্রামে। কিন্তু বর্তমানে সে মালদহের কালিয়াচক এলাকায় তার মামার বাড়িতে ছিল বলে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি ওই শিশু আবু ধাবি থেকে ভারতে এসেছিল। আবু ধাবি থেকে প্রথমে তার পরিবার আসে হায়দরাবাদে। হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে নামার পর ওই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের করোনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানে তার পরিবারের অন্য সদস্যদের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও শিশুটির রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
আরও পড়ুন-গরিব মানুষেরা এখনও দেশের সম্পদ, প্রান্তিক শ্রেণির পাশে দাঁড়িয়ে বড় বার্তা মমতার
তবে বর্তমানে পরিবারের লোকজন আবার গোটা ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরের উপর খানিক ক্ষোভ প্রকাশ করে। তাদের দাবি এর আগেও তারা মালদহের একটি বেসরকারি থেকে করোনা টেস্ট করিয়েছিলেন। সেই সময়ও তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সে বিষয়টি জানানোর পরেও তাঁদেরকে হয়রানির শিকার করা হয়েছে বলে দাবি করেন। তবে এদিন দুপুরে পাকাপাকি ভাবে ফের নেগেটিভ রিপোর্ট আসায় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশুসহ তার পরিবারের প্রত্যেককে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা এও জানিয়েছেন বর্তমানে শিশুসহ তার পরিবারের প্রত্যেককে সকলেই সুস্থ রয়েছেন। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।