ঘূর্ণিঝড় যশের মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন। নবান্নের নির্দেশ মত বিভিন্ন এলাকায় সেফ হোম তৈরি হয়েছে। ব্যতিক্রম নয় পুরুলিয়ার ঝালদাও। আবহাওয়া দপ্তর থেকে সতর্ক বার্তা পাওয়ার পরেই তৎপরতা শুরু করে দেয় প্রশাসন। ইতিমধ্যে এলাকায় এসে পৌঁছেছে এনডিআরএফ টিম।
ঝালদা মহকুমা শাসক সুবর্ন রায় জানান যশ নামক যে ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হয়েছে ও ক্রমশ ভূখন্ডের দিকে এগিয়ে আসছে তাতে ঝালদা মহকুমা এলাকা কিছুটা প্রভাবিত হতে পারে। তাই জেলাশাসক জেলার সমস্ত আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। মহকুমা এলাকার সমস্ত দপ্তরের আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়েছে। সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কোথাও কোথাও এক বা দুটি ক্যাম্প করা হচ্ছে। সেখানে খাবার, ঔষধ প্রভৃতি মজুত থাকবে। এছাড়াও বন দপ্তরের কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে।
কোথাও ঝড়ে গাছপালা ভাঙার খবর পেলে উদ্ধার কাজে তৎক্ষনাৎ পৌঁছাতে পারবেন বন দপ্তরের কর্মীরা। বিদ্যুৎ দপ্তরের লোকেরা বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা মেরামত করবেন। তবে আতঙ্কের কিছু নেই বলেই এদিন আশ্বাস দেন মহকুমা শাসক। এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঝালদা সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় বৃষ্টি। সাথে ঝোড়ো হাওয়া। তবে রাজ্যের প্রান্তিক জেলার প্রান্তিক শহরে এনডিআরএফ টিম পৌঁছে যাওয়ায় অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন এলাকাবাসি।
পুরুলিয়ার মতো রুখা জেলায় এনডিআরএফ টিম প্ৰথম এল। এর আগে দুর্যোগ হলেও এনডিআরএফকে টিম ডাকা হয়নি বলে জানানো হয় পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ঘূর্ণিঝড় যশের জন্য ৪৩১টি সেফ হোম তৈরি হয়েছে। ১৪৩০০ জনকে সরিয়ে আনা হয়েছে ওই সেফ হোমে। এই ধরণের পদক্ষেপ জেলায় প্ৰথম।
এদিকে জানা গিয়েছে, যশ বর্তমানে বাংলা থেকে বেশ কিছুটা সরে গিয়ে গতিপথ বদলিয়েছে। যার জেরে সামান্য হলেও পরিবরিতন হল আবহাওয়ার পূর্বাভাস। যে ভয়ানক ঝড়ের আগাম সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে তা বর্তমানে কিছুটা হলেও কমল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ২৫ ও ২৬ তারিখে। তবে যশের দাপট সেভাবে প্রভাব ফেলবে না বাংলায়। বৃষ্টি হবে ২৫ তারিখ- পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিতে।