জিয়াগঞ্জের শিক্ষক পরিবার হত্য়াকাণ্ডে ঝাড়খণ্ডের সুপারি কিলারের যোগ

  • জিয়াগঞ্জের শিক্ষক পরিবার হত্যাকাণ্ডে এবার নয়া মোড় 
  • খুনের তদন্তে নেমে সিআইডির হাতে উঠে এল একাধিক তথ্য
  •  শিক্ষক পরিবার খুনে এবার মিলল ঝাড়খণ্ডের সুপারি কিলারের যোগ
  • শৌভিককে জেরা করে মিলেছে আরও বেশকিছু তথ্য
     

জিয়াগঞ্জের শিক্ষক পরিবার হত্যাকাণ্ডে এবার নয়া মোড়। রবিবার সন্ধ্যায় খুনের তদন্তে নেমে সিআইডি  ও মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের হাতে উঠে এল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শিক্ষক পরিবার খুনে এবার মিলল ঝাড়খণ্ডের সুপারি কিলারের যোগ। সঙ্গে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সূত্র।

এদিকে যাকে ঘিরে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য কেন্দ্রীভূত হয়েছে পাল পরিবারের  ঘনিষ্ট বন্ধু সেই শৌভিক বনিককে এদিন আটক করেছে পুলিশ। তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসা করেই হয়তো বড়সড় কোনও সাফল্য আসতে চলেছে তদন্তকারীদের হাতে। তবে মৃত শিক্ষক বন্ধু প্রকাশ পালের সঙ্গে যে শৌভিকের মোটা টাকার লেনদেন ছিল, সে বিষয়ে তদন্তকারী অফিসাররা নিশ্চিত । পুলিশের অনুমান এই টাকার লেনদেনের কারণেই খুন করা হয়ে থাকতে পারে পাল পরিবারকে। প্রশ্ন জাগে, তাহলে শৌভিককে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। নাকি এর সঙ্গে যুক্ত আছে আরও বড় চক্র । সেই চক্রের নাগাল পেতেই এখন পুলিশের নজর রামপুরহাট,সিউড়ি ও ঝাড়খণ্ডের দিকে। 

Latest Videos

সূত্রের খবর, রামপুরহাটের বাসিন্দা শৌভিককে শুক্রবার রাতে সিউড়ির একটি হোটেল থেকে আটক করে পুলিশ। এই বিষয়ে রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার শ্রী মুকেশ বলেন ,তদন্তের কাজ অনেকটাই গুটিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে । আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে । দ্রুত এই ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে । প্রকাশ্য়ে না বললেও পুলিশ সূত্রে খবর,এই খুনের জন্য কোনও সুপারি কিলার নিয়োগ করা হয়ে থাকতে পারে। আপাতত সেই সুপারি কিলারের সন্ধ্যানে জেলার অপর একটি পুলিশ বাহিনী হন্যে হয়ে ছুটছেন বীরভূম ও ঝাড়খণ্ডের রাস্তায়। 

বিজয়া দশমীতে জিয়াগঞ্জ লেবুবাগান এলাকায় গলা কেটে খুন করা হয় শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি ও পুত্র অঙ্গনকে । এই ঘটনায় পুলিশ ও সিআইডি দল একাধিক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেও খুনের কিনারা করতে পারেনি । অবশেষে এই ঘটনার অন্যতম সন্দেহভাজন রামপুরহাটের বাসিন্দা শৌভিক বনিককে দু দিন ধরে আটক করে জিজ্ঞাসা চালাচ্ছে পুলিশ । শৌভিকের বাড়ি তল্লাশি করে বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছে পুলিশ  । এর থেকে জানা গিয়েছে শৌভিকের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বহুজাতিক সংস্থা ও বিমা সংস্থায় টাকা তোলার কাজ করতেন মৃত শিক্ষক । নিজেরাই একটি লগ্নি সংস্থা খুলে ব্যাবসা করবে বলেও স্থির করেছিল দুই পরিচিত ।  জানা গিয়েছে বেশ কিছু লোককে বাড়তি টাকার লোভ দেখিয়ে টাকা তুলতেন বন্ধুপ্রকাশ । ওই টাকা শৌভিককে দেওয়া হত । বর্তমানে চড়া সুদে টাকা খাটিয়ে আমানতকারীদের টাকা শোধ দেওয়ার কারবারে মনোযোগী হয়েছিল তারা । 

এদিকে সময় মত মানুষের টাকা ফেরত দিতে না পারায় এলাকার মানুষ চাপ দিতে শুরু করে বন্ধুপ্রকাশকে । একই ভাবে বন্ধুপ্রকাশও শৌভিককে টাকা ফেরত  দিতে চাপ সৃষ্টি করে ।  টাকা ফেরত না দিলে ভাল হবে না বলেও হুমকি দিতে থাকে বন্ধুপ্রকাশ । লাগাতার এই চাপের কারণেই কি সপরিবারে শেষ করে দেওয়া হল পাল পরিবারকে । তবে নিজে হাতে নাকি এর জন্য পেশাদার খুনিকে কাজে লাগিয়েছিল শৌভিক । এমন প্রশ্নের জবাবে জেলার এক পুলিশ অফিসার বলেন, অনুমান করা হচ্ছে শৌভিক বাইরের পেশাদারকে কাজে লাগিয়ে এই খুন করে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় মানুষের সাহায্য নেওয়া হয়েছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে ।  
 

Share this article
click me!

Latest Videos

Bangladesh-এ এবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের ভক্তদের উপর আক্রমণ, গর্জে উঠে যা বললেন Suvendu Adhikari
Chinmay Krishna Das-কে দেখা মাত্রই 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনিতে মুখরিত চট্টগ্রাম কোর্ট চত্বর, দেখুন ভিডিও
'Firhad Hakim ও Kalyan Banerjee কে ফের একবার তীব্র আক্রমণ Humayun Kabir-এর, দেখুন কী বললেন
Suvendu Adhikari Live: সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু, কী বার্তা, দেখুন সরাসরি
কলকাতার রাজপথে ফের প্রতিবাদের মশাল মিছিল! প্রভু চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে চললও বিক্ষোভ মিছিল