ঝড় বা বৃষ্টি কোনও কিছুই নেই। সকাল থেকেই রয়েছে রোদ। আর এর মধ্যেই আচমকা পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে মঙ্গলবার সকালে ভেঙে গেল কংসাবতী নদীর উপরে চাষের কাজের জন্য তৈরি করা নব নির্মিত বাঁধ।
ঝড় (Storm) বা বৃষ্টি (Rain) কোনও কিছুই নেই। আবহাওয়াও (Weather) খুব একটা খারাপ নয়। সকাল থেকেই রয়েছে রোদ (Clear Sky)। আর এর মধ্যেই আচমকা পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) দাসপুরে (Daspur) মঙ্গলবার সকালে ভেঙে গেল কংসাবতী নদীর (Kansabati River) উপরে চাষের (Farming) কাজের জন্য তৈরি করা নব নির্মিত বাঁধ (Dam)। গত দু'মাস ধরে এই বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছিল। পঞ্চায়েত সমিতি (Panchayet Samiti) ও ব্লকের উদ্যোগে ৮ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল বাঁধটি। কিন্তু, নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার দু'দিনের মাথাতেই জলের (Water) চাপে ভেঙে ধুয়ে যায় বাঁধ। আজ সকালে আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে যায় দু'দিন আগে তৈরি হওয়া বাঁধটি। আর এর ফলে রীতিমতো সংকট তৈরি হয়েছে ৮১টি মৌজার বোরো চাষে। আর ঘটনার দায় চেপেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ।
জেলার দাসপুর ১ ব্লকের ৮১ টি মোজাতে বোরো চাষ হয়ে থাকে কংসাবতি নদীর জলে। সেই এলাকার কয়েক হাজার কৃষকের (Farmer) চাষ নির্ভর করে থাকে এই জলের উপরই। তার জেরেই বন্যা পরিস্থিতি ঠিক হতেই স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের উদ্যোগে দাসপুরের কলমীজোড় এলাকাতে কংসাবতী নদীর উপরে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। প্রায় দুমাস ধরে বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি নিয়ে গিয়ে ওই বাঁধ তৈরির কাজ চলছিল। গত দু'দিন আগেই সেই বাঁধ তৈরির কাজ শেষ হয়। প্রায় ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল সেই বাঁধ নির্মাণ করার জন্য। আর বাঁধ নির্মাণ শেষ করার পর নির্মাণকারীরা ওই এলাকা থেকে চলে যাওয়ার পরই সেখানে ফাটল দেখা দিয়েছিল। বাঁধে ফাটল দেখেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের কপালে।
আরও পড়ুন- আনিসহত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শহরে ফের মিছিল, এবার রাজপথে নামল আইএসএফ
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর জলস্তর কয়েকদিন ধরেই বাড়ছিল। এছাড়া বাঁধের নির্মাণকাজও একেবারেই ভালো হয়নি। মাটি ও বাঁশের পরিমাণ কম দিয়েছিল ঠিকাদার। তার জেরেই জলের চাপ আর বাঁধটি ধরে রাখতে পারেনি। জলের চাপে আজ সকালেই তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে।
আরও পড়ুন- বাম আমলে কেতুগ্রামে পুড়িয়ে হত্যা ৫, একযুগ পর বেকসুর খালাস তৃণমূল বিধায়ক-সহ ৬৮ জনের
এদিকে বাঁধে ফাটল ধরার পরই স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে বিষয়টি জানানো হয়েছিল নির্মাণকারি ঠিকাদার-সহ প্রশাসনের কর্তাদের। যদিও বিষয়টিতে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। তার জেরেই মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ বাঁধটি জলের তোড়ে ভেঙে চলে যায়। তার সঙ্গে সঙ্গে চাষের জন্য বেঁধে রাখা জলও বেড়িয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর ফলে সামনের বোরো চাষে জল সংকট দেখা দেবে বলে আশঙ্কা। আর সেই জল সংকট মেটাতে না পেরে দাসপুরের বহু কৃষককেই সমস্যায় পড়তে হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, কড়া নিরাপত্তার মাঝেই পুনর্নির্বাচন দক্ষিণ দমদম ও শ্রীরামপুরে, প্রচুর পুলিশ মোতায়েন