রাজ্যে তখনও হাওয়া বদল হয়নি, 'পরিবর্তন চাই' রব ওঠেনি রাজ্যে। বামরাজত্বকালে ২০০৯ সালের বর্ধমানের কেতুগ্রামের একটি হত্যাকাণ্ডের মামলায় বাকি ৬৮ জনকে এবার বেকসুর খালাস করল বিধান নগর এমপি এমএলএ আদালত।
রাজ্যে তখনও হাওয়া বদল হয়নি। 'পরিবর্তন চাই' রব ওঠেনি রাজ্যে। তখন কেউ জানতো না, চৌত্রিশ বছরের শাসকদল বিদায় নিতে চলেছে। তবে সেই বাম রাজত্বকালেই বর্ধমানে একটি নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল। ২০০৯ সালে লুঠপাঠের ঘটনায় ৫ জনকে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার পর ৭৯ জন বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। তার মধ্যেই ১১ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। এবার সেই ২০০৯ সালের বর্ধমানের কেতুগ্রামের একটি হত্যাকাণ্ডের (Katugram Murder Case) মামলায় বাকি ৬৮ জনকে এবার বেকসুর খালাস করল বিধান নগর এমপি এমএলএ আদালত (Bidhannagar MLA MP Court) ।
বছরটা ছিল ২০০৯ সাল। ঘটনার সূত্রপাত হয় একটি লুঠপাঠের ঘটনা কেন্দ্র করে। বর্ধমানের কেতুগ্রামে গ্রাম লুটপাটের ঘটনায় বিভিন্ন রকম হামলা চালিয়েছে বলে খবর প্রকাশ্য়ে আসে। লওলেখা ছিল গ্রাম লুটপাটের সময় নিশংস ভাবে ৫ জনকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।এমনকি ওই ৫ জনকে নৃশংস ভাবে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। এরপরেই কলিজা বিবি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৭৯ জনের বিরুদ্ধে। এদিকে দেখতে দেখতে এখন বাইশ সালে পা দিয়েছে বাংলা।খুন করে পুড়িয়ে মারাপ ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১১জন অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে। ৭৯ জনের মধ্যে বর্তমানে ৬৮ জন বেঁচে আছেন। তাঁর মধ্যে কেতুগ্রাম বিধানসভার কেন্দ্রের বিধায়ক শেখ শানোয়াজও অভিযুক্ত ছিলেন। সোমবার সেই মামলা বিধান নগর এমপি এমএলএ আদালতে উঠলে তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ-সহ ৬৮ জনকে বেকসুর খালাস করল বিধাননগর এমপি এমএলএ আদালত। তৃণমূল বিধায়ক জানান,' আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করা হয়েছিল। সিপিএমে-র পক্ষ থেকে আমরা এই ঘটনায় কেউ যুক্ত ছিলাম না। আজ মহামান্য আদালত বেকসুর খালাস করলেন।'
আরও পড়ুন, কড়া নিরাপত্তার মাঝেই পুনর্নির্বাচন দক্ষিণ দমদম ও শ্রীরামপুরে, প্রচুর পুলিশ মোতায়েন
দেখতে গেলে প্রায় এক যুগ পার। এদিকে বেসকসুর খালাস হওয়ার পর ৬৮ জনের মধ্যে তৃণমূল বিধায়ক নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। যেহেতুন প্রত্যেকেই বেসকসুর ছাড়া পেয়েছে, তাই অপরাধ করেনি বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। তবে মাঝের এই ১২-১৩ বছর বিনা অপরাধেই কি তবে তাঁরা কাটালেন। এবং যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরাও প্রায় একযুগ স্বাধীনতা আকাশ-বাতাসের স্বাদ না নিয়েই প্রয়াত হলেন। তবে শুধু যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডই কেতুগ্রামে হয়েছে, তা নয়। বছরের পর বছর খুন থেকে ধর্ষণ একাধিক অপরাধের সাক্ষী এই কেতুগ্রাম। তাই শিরোণামেও কম বার আসেনি বর্ধমানের এই খুদে গ্রাম।