সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার সকালে কমিশনের নির্দেশ অনুযাযী নির্দিষ্ট সময়েই পুনর্নির্বাচন শুরু হল রাজ্যের দুটি বুথে। কড়া নিরাপত্তার মাঝেই দক্ষিণ দমদম এবং শ্রীরামপুরের দুটি বুথে এই মুহূর্তে ভোট গ্রহণ চলছে।
মঙ্গলবার সকালে কমিশনের নির্দেশ অনুযাযী নির্দিষ্ট সময়েই পুনর্নির্বাচন ( Re Election) শুরু হল রাজ্যের দুটি বুথে। মূলত রবিবার রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ভোট (WB Municipal Elections 2022)চলাকালীন সকাল থেকেই একাধিক জায়গায় ধুন্ধমার শুরু হয়। ছাপ্পা ভোট, ভুয়ো ভোটার থেকে ইভিএম খারাপ-সহ প্রার্থীদের উপর হামলা-অপহরণের অভিযোগ আসতেই থাকে। তারপরেই রাজভবনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। আর তাঁর সঙ্গে বৈঠক শেষ করে বের হওয়ার পরই ২ বুথে পুনর্নির্বাচন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আর সেই নির্দেশ মেনেই এদিন সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে দুটি বুথে। দক্ষিণ দমদম এবং শ্রীরামপুরের ( South Dum Dum and Shrirampur ) দুটি বুথে এই মুহূর্তে ভোট গ্রহণ চলছে। স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
প্রচুর পরিমাণে পুলিশ, ভোটারদের মধ্যেই কম উৎসাহ
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নং ওয়ার্ডের ৪ নং বুথে এবং শ্রীরামপুরের ২৫ নং ওয়ার্ডের ৭ নং বুথ মাহেশ যুব কিশোর সংঙ্ঘে সকাল ৭ টা থেকেই ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। যাতে কোনওভাবেই অশান্তি তৈরি না হয়, সেই কারণে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে দুটি বুথেই। শ্রীরামপুরে বুথে প্রবেশের সকল রাস্তা কার্যত ব্যারিকেড করে রেখে পুলিশ। তবে দক্ষিণ দমদম পুরসভার নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে কম উৎসাহই চোখে পড়ছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে, খুব বেশি মানুষকে বুথ মুখী হতে দেখা যায়নি। উল্লেখ্য দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মায়া মাইতি, বিজেপি প্রার্থী বীণা প্রসাদ এবং সিপিএম প্রার্থী রিতা দাস। পাশাপাশি শ্রীরামপুর তৃণমূলের হয়ে পুরভোট যুদ্ধে লড়ছেন, শ্রমিষ্ঠা দাস, বাম প্রার্থী ভারতী সেন, এবং বিজেপি প্রার্থী রিঙ্কু বন্দ্য়োপাধ্যায়।
'আর কেউ পোলিং এজেন্ট না পাঠায়'
প্রসঙ্গত, পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে রাজভবনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের তলবে রাজভবন যান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। সূত্রের খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে রাজ্যপাল প্রশ্ন করেন, 'কেন ভাঙা হল ইভিএম, কেন প্রার্থীরা আক্রান্ত, কেন ভোট দিতে পারলেন না সাধারণ মানুষ। যেখানে সন্ত্রাস হয়েছে, সেখানে পুনর্নির্বাচন করা হোক।' সেই সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে জানানো হয়, 'জেলা শাসকদের রিপোর্ট অনুযায়ী পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে'। তারপরই কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয় যে দুটি বুথে পুননির্বাচন করা হবে। দুটি বুথে পুনর্নিবার্চন হলেও রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী ক্ষোভ উগরে বলেছেন, বলেছেন, '১০ হাজার বুথে লুঠ হয়েছে। পোলিং এজেন্ট পাঠাতে পারেনি। তাই এই দুটি বুথে যেনও আর কেউ পোলিং এজেন্ট না পাঠায়।'