সোমবারের মতো মঙ্গলবার সকালেও ঘন কুয়াশায় ঢেকেছিল শহর কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেটে যাবে কুয়াশা। আজও আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে শহর এবং শহরতলিতে।
জানুয়ারি (January) মাসে সাধারণত হাড় কাঁপানো ঠান্ডা (Cold Weather) পড়ে বঙ্গে। কিন্তু, এবার আর তার দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। পৌষের শুরুতে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়লেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে উত্তুরে হাওয়া রাজ্যে প্রবেশের পথে বাধা পেয়েছিল। আর তার জেরেই রাজ্যে ফের বেড়ে গিয়েছিল তাপমাত্রা (Temperature)। হয়েছিল বৃষ্টিও (Rain)। এদিকে জানুয়ারির শুরুতে তাপমাত্রার পারদ এই মুহূর্তে বেশ অনেকটাই নিচে রয়েছে। কিন্তু, তাও বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে। কারণ তার নেপথ্যে রয়েছে দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।
সোমবারের মতো মঙ্গলবার সকালেও ঘন কুয়াশায় (Fog) ঢেকেছিল শহর কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেটে যাবে কুয়াশা। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি কম। বৃষ্টিপাতের কোনও পূর্বাভাস নেই। উত্তুরে হাওয়ার কারণে ঠান্ডার আমেজ থাকবে সারাদিন। আবহাওয়া দফতরের (Weather Office) খবর অনুযায়ী, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গ (North Bengal) এবং দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। ৫ তারিখ থেকে আবার রাতের তাপমাত্রা (Night Temperature) বাড়বে। শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে।
আরও পড়ুন- ১০টায় শেষ ট্রেন, দেখে নিন কলকাতায় ২৫টি কন্টাইমেন্ট জোনের বিস্তারিত তথ্য
পরপর দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব পড়তে চলেছে বঙ্গে। ৫ জানুয়ারি থেকে ৬ জানুয়ারি ও পরে ৭ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পরপর দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বাধা পাবে শীত। বাধা পাবে উত্তরের বাতাস। মঙ্গলবার সকালের দিকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হলেও রাত থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার একধাক্কায় তাপমাত্রার অনেকটা হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে কলকাতায় ও জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতও হতে পারে।
আর এই জোড়া পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলায় রাজ্য থেকে শীত খুব তাড়াতাড়ি উধাও হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। পৌষেও অকালবৃষ্টির সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১-এ গোটা ডিসেম্বর মিলিয়ে কলকাতার রাতের তাপমাত্রার গড় থেকেছে স্বাভাবিকের উপরেই। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় দাঁড়িয়েছিল ১৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ১.২ ডিগ্রি বেশি। এদিকে ২০ ডিসেম্বর ছিল একুশের শীতলতম দিন। কলকাতার তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এমনকী, শৈত্যপ্রবাহ হয়েছিল পশ্চিমাঞ্চলে। সবাইকে পিছনে ফেলে রাজ্যের সমতলে শীতলতম স্থানের তকমা পায় নদিয়ার কল্যাণী। তাপমাত্রা নামে ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা নামে ৭.১ ডিগ্রিতে। পাহাড়ি এলাকাকেও পিছনে ফেলে দিয়েছিল সেই তাপমাত্রা। কিন্তু, তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বরং পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে ফের বাড়তে শুরু করে তাপমাত্রা।