ক্রমশই বিলুপ্তির পথে রাজা বল্লাল সেনের প্রাসাদ, গৌড় জুড়ে এখন শুধুই ভগ্নস্তূপ

ইতিহাসের ছোঁয়া গৌড়ের পরতে  পরতে
এখন ধবংস স্তুপে পরিনত বল্লাল বাটী
পুরাতত্ববিদ বিমল বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঢিপির সন্ধান পান
ইতিহাসের সেই পীঠস্থান থেকে এই প্রতিবেদন

 

 

 

Arpita journalist | Published : Jan 18, 2020 9:11 AM IST

 ইতিহাসের  ছোঁয়া মালদহ তথা গৌড়ের পরতে পরতে  মসজিদ  পর্ব দেখা  শেষ  হওয়ার  পর  এবার  আমরা সেন বংশের  রাজা বল্লাল সেনের  বাটি বা ঢিপির উদ্দেশ্যে যাত্রা  শুরু করলাম আঁকাবাঁকা   মাটির  রাস্তায়  দু ধারে আমবাগান  কে রেখে গাড়ি নিয়ে এগিয়ে  চলা অবশেষে  গাড়ি  এসে থামল   বল্লাল সেন বাটির  সেই  ধ্বংস  স্তুপের  সামনে   একটা দায়সারা  পরিচিতি  বোর্ডনেই  কোনও প্রহরা অতি সহজেই  ঢিপির  উপর  উঠে পর্যটকদের  রীতিমতো  ফটো শেসন চলছে

বাইশগজী দেওয়াল থেকে আমবাগানের মাঝখান দিয়ে বাঁ দিকে মাটির রাস্তা চলে গিয়েছে বাঁ দিকে কিছু দূর হেঁটে যাওয়ার পর দেখলাম অস্পষ্ট এক বোর্ডে লেখাবল্লালবাটি এটা যে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গিয়েছে সেটা স্পষ্টই বোঝা যায় কারণ আমরা উপর থেকে নীচের দিকে দেখছি নাম শুনে বোঝা যাচ্ছে এটাই হয়তো সেনরাজ বল্লাল সেনের ভবন ছিল। 

অন্যান্য জায়গায় কিন্তু নীল বোর্ডে ছোটো করে একটা ইতিহাস লেখা পেয়েছি কিন্তু এখানে তেমন কিছুই নেই পুরাতত্ববিদ বিমল বন্দোপাধ্যায় একটি মাটির ঢিবি খুঁড়ে বার করেন এই বল্লালবাটি এটা আদৌ বল্লাল সেনের তৈরি কিনা সেটা নিয়ে বেশ বড়ো প্রশ্ন তবে ইতিহাস অনুযায়ী ধরে নেওয়া হয়েছে যে এটি আসলে বল্লাল সেনই বানিয়েছিলেন আর সুলতান বারবক শাহ এটা সংস্করণ করেন বা প্রথম থেকে আবার করে তৈরি করেন। 

সামনে দিয়েই বয়ে যেত গঙ্গা ভেতরে বাগান ছিল, পুকুর ছিল বাইশগজী পাঁচিল দিয়ে ঘেরা ছিল প্রাসাদটি গোল ইঁটের স্তম্ভের উপর ছিল বড়ো বড়ো গোল গোল ইটের স্তম্ভগুলো এখনও আছে স্থানীয়রা বলল, ওই স্তম্ভের মাঝে যে বড়ো ফুটো, তার মধ্যে বসানো হত শাল কাঠের গুঁড়ি তার উপর প্রাসাদ প্রাসাদ আর নেই, স্তম্ভগুলো আছে। 

প্রাসাদের  অস্তিত্ব  আজ বিলীনস্থানীয়  এক বাসিন্দার সঙ্গে  কথা  বলে  জানা গেল  দেদারে ইঁট চুরি  হচ্ছেপ্রশাসনের  হুঁশ  নেই  আমবাগানের জন্য   মাটি  খুঁড়তে  গিয়ে  নাকি  এই  ঢিপির সন্ধান  মেলে মতান্তরে  পুরাতত্ত্ব  বিদ বিমল বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঢিপির সন্ধান  পান। 

Share this article
click me!