ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিস এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলতে চেষ্টা করে।
ব্যস্ততম জাতীয় সড়কে (National Highway) ফের পথ দুর্ঘটনা (Road Accident)। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ঝরে গেল একটা প্রাণ (One Dead)। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও চারজন (4 Persons Injured)। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বল্লালপুরের ঘটনা। শীতের দুপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটল রবিবার। পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এদিন। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন আরও চারজন। এই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত বাসিন্দারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘটনায় রবিবার মুর্শিদাবাদের বল্লালপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পুলিশ সূত্রের খবর মৃতের নাম এনামুল শেখ (৪২)। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখমদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিস এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলতে চেষ্টা করে। ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ। চালকের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
সংবাদমাধ্যমকে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একজনের মৃত্যু হয়েছে। জখমদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে"। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে এনামুল সাহেব জমি থেকে চাষের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। আলিনগর জাতীয় সড়কের পাশে চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে থাকার সময় মালদহের দিক থেকে আসা পিকআপ ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে চাপা দেয়। তারপর একটি যাত্রীবোঝাই ইঞ্জিন ভ্যানেও ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই এনামুল সাহেবের মৃত্যু হয়।
ইঞ্জিন ভ্যানের চারজন যাত্রী ছিটকে পড়ে গুরুতর জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাঁদের মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়। এদিকে, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। জাতীয় সড়ক অবরোধও করা হয়। ফলে, বহু যানবাহন আটকে পড়ে। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় বাসিন্দা আকবর আলী, আফরাজুল শেখ বলেন, এইভাবে দিনের পর দিন জাতীয় সড়কে বেড়ে চলেছে মারণ দুর্ঘটনা। মানুষের প্রাণের কোনও নিরাপত্তা নেই। এমনকি সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। দ্রুত প্রশাসনের উচিত উপযুক্ত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও জাতীয় সড়ক জুড়ে নজরদারি চালানো শুরু করা।