Panihati Murder Case: পানিহাটি গঙ্গার ঘাটে যুবকের দেহ উদ্ধার, খুন করে মাটি পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ

Published : Dec 26, 2021, 05:28 PM IST
Panihati Murder Case: পানিহাটি গঙ্গার ঘাটে যুবকের দেহ উদ্ধার, খুন করে মাটি পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ

সংক্ষিপ্ত

 পানিহাটি গঙ্গার গিরিবালা ঘাটে যুবক খুন করে মাটিতে পুতে দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।  

শহরে ক্রিসমাসের পরেই বড়সড় ক্রাইমের ঘটনা প্রকাশ্যে এল (Murder Case)। পানিহাটি গঙ্গার গিরিবালা ঘাটে (Panihati  Giribala  Ghat) যুবক খুন করে মাটিতে পুতে দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে খড়দহ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী (Khardaha Police)।  কী কারণে এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তদন্তে নেমেছে পুলিশ।  

পানিহাটি ৫ নম্বর ওয়ার্ড গিরিবালা ঘাট এলাকায় যুবককে মাথা থেতলে খুন করে গঙ্গার মাটিতে পুতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খরদহ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ সূত্রে খবর, যুবকের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাথার পেছনে ধারালো কিছু দিয়ে থেতলে খুন করে মাটির মধ্যে পুঁতে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এই ঘাটে পর পর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে যথেষ্ট আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে খড়দহ থানার পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, 'আমাদের এখানে ক্লাবে প্রতিযোগীতা হচ্ছে বলে আমি এলাকাতেই ছিলাম। আচমকাই ফোন আসে, যে এলাকায় একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে এখানে এসে দেখি, গঙ্গার পাড় জুড়ে রক্তের দাগ। দেহটিকে পুতে দেওয়া হয়েছে। তবে পুরোটা মাটির ভিতরে ঢোকেনি। কিছুটা বোঝা যাচ্ছিল।এরপরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খুবই মর্মাহত ঘটনা। এরকম ঘটনা আগে হত না। ছোট-ছোট ছেলেমেয়েদের কাছে বিষয়টি খুব ভয়ের।'

আরও পড়ুন, কীভাবে রাজ্য মিস্ত্রিদের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন, পুলিশের সামনে মুখ খুললেন ২ গৃহবধূ

প্রসঙ্গত, বর্ষশেষের মাসে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিংয়ের মাথ থেঁতলে খুন, পশ্চিম মেদিনীপুরের পরকিয়ায় বাধা পেয়ে সন্তানকে খুন, মুর্শিদাবাদের হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি কলকাতা এবং পাশ্ববর্তী অঞ্চলের মধ্যে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে বাঁশদ্রোণীতে। সপ্তাহ খানেক আগেই বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের  জেরে খুন হতে হয়েছে সোনালি পার্কের বাসিন্দা মুকেশ সাউকে। পুলিশ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভাইয়ের বৌয়ের প্রেমিকাই প্রধান কালপ্রিট।  জেরার তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রাজীবের সঙ্গে মুকেশের ভাইয়ের স্ত্রীয়ের বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। সোনালি পার্কের মুকেশ সে কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন। তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ান তিনি। দুজনের সম্পর্কে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ান মুকেশ। তাঁর থেকেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে। নিজেদের সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য মুকেশকে খুনের পরিকল্পনা করে রাজীব। এরপরে ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে দেওয়া হয়। সেই চাকু ধরিয়ে দেওয়া হয় মুকেশের হাতে। তদন্তে নেমে রহস্যের উন্মোচন করেন লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকেরা।

PREV
click me!

Recommended Stories

পৌষমেলা: শান্তিনিকেতনে পর্যটকদের জন্য সরকারি উদ্যোগে খুলে দেওয়া হল বাউল বিতান
সৌমিকদের গ্রেফতারি তাহলে কেন ছাড় প্যাটিস বিক্রেতাকে? প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শুভেন্দু