মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ বাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলেন বিরোধী বিধায়করা। তবে বিজেপি বিধায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেবল মাত্র মুকুল রায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) শপথ বাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে (swearing-in ceremony) অনুপস্থিত থাকলেন বিরোধী বিধায়করা। তবে বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেবল মাত্র মুকুল রায়(Mukul Roy)। আর কেউ এই শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেননি। বিষয়টি বেশ দৃষ্টিকটু লাগায় বিতর্ক তৈরি হয়। পরে এই বিষয়ে সাফাই দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (State BJP President Sukanta Majumder)।
৩ লক্ষেরও বেশি মহিলা পেলেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা, পুজোর মুখে খুশির খবর রাজ্যে
বৃহস্পতিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিরোধী-শূন্য রাখা হবে, এমন ভাবনা থেকে ঘটনাটি ঘটেনি। রাজ্য জুড়ে বিধায়করা ব্যস্ত নানা কাজে। বিশেষ করে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তাঁরা। আর এটা তো মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নয়, এটা একজন বিধায়কের শপথ। আমাদের বিধায়করা যখন শপথ নিয়েছিলেন তখন তৃণমুলের অনেকে ছিলেন, আবার অনেকে ছিলেন না। তাই বিধায়কের শপথ গ্রহণে সকলের থাকার কোন প্রয়োজন নেই।
সব্যসাচী দত্তের দলত্যাগ প্রসঙ্গে সুকান্ত বাবু বলেন, আমাদের দলে যখন ছিলেন তখন উপযুক্ত সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ওনার হয়ত পছন্দ হয়নি। উনি দল বদল করেছেন, এটা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার, থাকলে ভাল হত। তবে বিধানসভায় গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর হাত ধরে দলবদল করেছেন, এটা ঠিক নয়। কারন বিধানসভা একটি সাংবিধানিক জায়গা, সেখানে দলীয় কোনো কর্মসূচি হতে পারেনা। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ও দলকে এক করে ফেলেছে। তাই এমন অসাংবিধানিক কাজ তাদের কাছ থেকেই প্রত্যাশিত।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। ২০২১-এ পুরোনো দলে ফিরলেন তিনি। আজ বিধানসভায় গিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব ও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ফের তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি।
খুশির খবর, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পুজোর আগেই চালু নতুন শিল্প, মিলবে প্রচুর চাকরি
এক সময় মুকুল রায়ের হাত ধরেই বিজেপি-তে গিয়েছিলেন সব্যসাচী। মুকুলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কথা সকলেরই জানা। এদিকে মুকুল তৃণমূলে ফেরার পরও সব্যসাচীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। তারপর বিধানসভা নির্বাচনে বিধাননগরে পদ্মের টিকিটে ভোট লড়েও পরাজিত হন সব্যসাচী। এরপর থেকেই দলের নীতি নিয়ে প্রকাশ্যেই সরব হন। তাঁর বিরুদ্ধে দলেবিরোধী মন্তব্যের অভিযোগও উঠেছিল।