সংক্ষিপ্ত

আগামী ৭ অক্টোবর বলরামপুরের লাক্ষা শিল্পের শেলাক ক্লাস্টার কারখানার উদ্বোধন। তার আগে কারখানা পরিদর্শন করে লাক্ষা কারখানার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি।

খুশির হাওয়া জঙ্গলমহল (Jangal Mahal) পুরুলিয়ায় (Purulia)। পুরুলিয়ার বলরামপুরের (Balarampur) লাক্ষা শিল্পকে (Shellac Industries) বিশ্বমানের গড়ে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ রাজ্য সরকারের (West Bengal Government)। দীর্ঘদিন ধরে ধুঁকতে থাকা বলরামপুরের লাক্ষা শিল্পকে এক ছাতার নিচে নিয়ে এসে তৈরি হচ্ছে ক্লাস্টার প্রজেক্ট। লাক্ষা কারখানা থেকে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার এক ছাতার নিচে লাক্ষার একগুচ্ছ প্রকল্প তৈরি হলে ছড়বে না দূষণ। বাড়বে লাক্ষার আন্তর্জাতিক গুণমান। তৈরি হবে কর্মসংস্থান। 

উদ্বোধনের আগে প্রকল্প ঘুরে দেখলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৭ অক্টোবর বলরামপুরের লাক্ষা শিল্পের শেলাক ক্লাস্টার কারখানার উদ্বোধন। তার আগে কারখানা পরিদর্শন করে লাক্ষা কারখানার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি। বিষয়টি নিয়ে সভাধিপতি বলেন এই ক্লাস্টার কারখানাটি সরকারি প্রকল্পের আওতায় আনার কারণ হল বড় বড় লাক্ষা কারখানাগুলি খুব বেশি পরিমাণে দূষণ ছড়াচ্ছে। যাতে এই দূষণের পরিমাণ কম করা যায় তার জন্য এই প্রকল্পটি চালু করা হচ্ছে।

পেনশন তোলা থেকে এটিএম কার্ডে পেমেন্ট, অক্টোবর থেকে বদলে যাচ্ছে এই সব নিয়ম

আপনার সন্তান কবে ভ্যাকসিন পাবে, কোন শিশু আগে পাবে টিকা, তালিকা দিল কেন্দ্র

শচীন থেকে শাকিরা, প্যান্ডোরা পেপার্সে ফাঁস রাঘব বোয়ালদের আর্থিক গোপন লেনদেন

এমনকি এলাকার প্রচুর বেকার মানুষ এখানে কাজ পাবে। ক্লাস্টার এর সেক্রেটারি রঞ্জিত মাঝি জানান এখানে লাক্ষা উৎপাদন করা হবে এবং লাক্ষা কারখানার বর্জ্য জল যা ব্যাপক মাত্রায় দূষণ ছড়ায় এই প্রকল্পে লাক্ষার কাঁচামাল প্রক্রিয়াকরণে দূষণের মাত্রাও কম হবে। খরচ অনেকাংশে কম হবে। পাশাপাশি এখানে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বসানো হয়েছে যার মাধ্যমে বর্জ্য জল রিসাইকেলিং করে প্লান্টে জলের খরচ কম করবে।

 

প্লান্ট পরিদর্শনকালে জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দোপাধ্যায় প্ল্যান্টের  সমস্ত কিছু বুঝিয়ে দেন প্লান্টের ইঞ্জিনিয়ার এবং বলরামপুর শেলেক ক্লাস্টারের চেয়ারম্যান অযোধ্যা প্রসাদ সাউ, এবং সেক্রেটারি রঞ্জিত মাঝি। প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের মার্চ মাসে এই প্রকল্পের শিলান্যাস করে ছিলেন রাজ্য সরকারের তৎকালীন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পরিষদের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। দীর্ঘ তিন বছর পর পুজোর মুখে প্রকল্পের শুভসূচনা হওয়ার খবরে খুশির হাওয়া বলরামপুর শহরের সমস্ত লাক্ষা ব্যাবসায়ী ও কর্মচারীদের মধ্যে।